ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
গত ৯ সেপ্টেম্বর উল্টোডাঙা উড়ালপুলের পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ায় যান চলাচল বন্ধ করা হয়। তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় ভিআইপি রোড, ইএম বাইপাসে। সল্টলেকে ঢুকতে খুব অসুবিধায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। ব্রিজ বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে জানান, উল্টোডাঙা উড়ালপুল সারাতে কমপক্ষে দু’মাসেরও বেশি সময় লাগতে পারে। এই অবস্থায় বেইলি ব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সকে। এই সংস্থাই গত বছর মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর সেখানে বেইলি ব্রিজ তৈরি করেছিল। তারাই কেষ্টপুর খালের উপরে উল্টোডাঙায় একমুখী বেইলি ব্রিজ তৈরি করবে।
এদিকে, উল্টোডাঙার উড়ালপুলের ফাটল সারানোর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ম্যাকিনটোস বার্ন সংস্থাকে। যে পিলারগুলিতে ফাটল ধরা পড়েছে, সেগুলিতে লোহার বিম দিয়ে প্রোটেকশন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ব্রিজ বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের পরামর্শ মেনেই কেষ্টপুর খালের এপার-ওপারে থাকা দুটি পিলার ঘিরে লোহার বিম লাগানো হয়েছে। ব্যস্ত ভিআইপি রোডে পুজোর সময় যাতে যাতায়াতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য লোড টেস্টের পরেই তা খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার আগেই বেইলি ব্রিজের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভিআইপি রোড থেকে যে গাড়িগুলি উল্টোডাঙা হয়ে সল্টলেকে ঢোকে, বেইলি ব্রিজ হয়ে গেলে সেগুলি সরাসরি ঢুকতে পারবে। লেকটাউন থেকে সল্টলেকের এ ই ব্লকে মধ্য দিয়ে গাড়ি চলে যাবে।
উল্টোডাঙা উড়ালপুলটি ২০১০ সালে তৈরি করেছিল ম্যাকিনটোস বার্ন। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তার উদ্বোধন করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ২০১৩ সালের ৩ মার্চ উড়ালপুলটির একটি গার্ডার পড়ে যায়। যে পিলারের উপর থাকা গার্ডার পড়ে গিয়েছিল, সেই পিলারের উপরের অংশে ফের ফাটল দেখা দিয়েছে। সেই ফাটল দেখা দেওয়ার জন্য সেখানে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয় কেএমডিএ। ব্রিজ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডিজাইনের ত্রুটির জন্যই উড়ালপুলে ফাটল দেখা দিয়েছে। যেহেতু রাজ্য সরকার অধীনস্থ সংস্থা ম্যাকিনটোস বার্ন উড়ালপুলটি তৈরি করেছে, তাই তাদেরই রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ভিআইপি রোডকে যানজট মুক্ত করতে বেইলি ব্রিজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেই ব্রিজে চার চাকার গাড়ি চলতে পারবে।