বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নিগম সূত্রের খবর, এক-একটি নয়া নন-এসি ট্রাম তৈরি করতে খরচ পড়ছে ২২ লক্ষ টাকা। এসি ট্রামগুলি তৈরির খরচ আরও বেশি। এক-একটি এসি ট্রাম তৈরিতে খরচ পড়ছে ২৯ লক্ষ টাকা।
নিগমকর্তাদের বক্তব্য, যানজটের কথা তুলে বহু ক্ষেত্রেই ট্রামকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। সেদিক থেকে এক বগির ট্রামের সংখ্যা বাড়ানো হলে যানজটের আশঙ্কাও এড়ানো সম্ভব হবে। নতুন ট্রামগুলিতে যানজট এড়ানোর পাশাপাশি যাত্রীদের সফর আরও আরামদায়ক হয়ে উঠবে। বিশেষত, এসি ট্রামে সফর বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম সূত্রের খবর, বর্তমানে ধর্মতলা-শ্যামবাজার রুটে এসি ট্রাম চলাচল করছে। রুটে দু’টি এক বগির এসি ট্রাম চালানো হচ্ছে। এসি ট্রামের জন্য আপাতত ভাড়ার দু’টি স্টেজ করা হয়েছে। প্রথম পাঁচ কিলোমিটারের জন্য ভাড়া ধার্য হয়েছে ২০ টাকা। পাঁচ কিলোমিটারের বেশি হলে ভাড়া দিতে হবে ২৫ টাকা। যাত্রীদের চাহিদা মতো নির্মীয়মাণ এসি ট্রামগুলিকেও নিয়মিত রুটে চালানো হবে বলে খবর। এক কর্তার কথায়, বহু যাত্রীর কাছেই ট্রাম সফর নিজেদের আবেগের সঙ্গে যুক্ত। এসি ট্রাম তাঁদের কাছে তো বটেই, অন্যান্যদের কাছেও আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। যাত্রীদের চাহিদা মেটাতেই দু’টি এসি ট্রাম তৈরি করা হচ্ছে।
নতুন ট্রামগুলিকে কোথায় চালানো হবে? নিগমের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, নতুন ট্রামগুলিকেও আপাতত উত্তরের কোনও রুটেই চালাতে হবে। কারণ, ধর্মতলায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জন্য উত্তর এবং দক্ষিণের ট্রাম লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ধর্মতলায় একটি লুপ লাইন তৈরির কথা রয়েছে। নয়া মেট্রোর নির্মাণকারী সংস্থা, কেএমআরসিএল আশ্বাস দিয়েছে, লুপ লাইন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা তারা ছেড়ে দেবে। জায়গা পেলেই লাইন পাতার কাজ করা হবে। এই লাইনটি তৈরি হয়ে গেলেই নোনাপুকুর ওয়ার্কশপ থেকে উত্তরে শ্যামবাজারের পাশাপাশি ময়দানের মধ্য দিয়ে খিদিরপুর পর্যন্তও এসি-নন এসি ট্রাম চালানো সম্ভব হবে। নয়া ট্রাম চালানো যেতে পারে গড়িয়াহাট চত্বরেও। কিন্তু যতদিন না ধর্মতলায় লুপ লাইনটি তৈরি করা যাচ্ছে, ততদিন দক্ষিণের কোনও রুটে এসি ট্রাম চালানো যাবে না। আপাতত ধর্মতলায় নিগমের কন্ট্রোল রুমের পাশে খালি থাকা জায়গায় লুপ লাইনটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
নিগম সূত্রের খবর, শহরে বিভিন্ন সংস্থার কাজের জেরে ট্রামের সংখ্যা কমে গিয়েছে। বর্তমানে দৈনিক কমবেশি ৩৫ থেকে ৪০টি করে ট্রাম চালানো হচ্ছে। যদিও নিগমের মোট ট্রাম রয়েছে ২৫০টিরও বেশি। তার মধ্যে ১২০টি ট্রাম রুটে চলার উপযোগী। বিভিন্ন সংস্থার কাজের জেরে ট্রাম বসিয়ে রাখায়, সেগুলির যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন নিগমের কর্মীরা।