কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন তদন্তে যাওয়া অতিরিক্ত পুলিস সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে ওই রাতে এলাকার বেশ কয়েকজন ছাদ থেকে কিছু নীচে পড়ার আওয়াজ পেয়েছিলেন।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণানন্দবাবু শাসন থানার পুলিস কর্মী। তিনি বারাসত কাছারি মাঠ লাগোয়া পুলিস আবাসনের দোতলার কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে বড় প্রভাকর। প্রভাকরবাবু সম্প্রতি হার্টের সমস্যায় ভোগা বাবাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য চেন্নাই নিয়ে গিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি বাবাকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। তিনি বিভিন্ন ব্যাঙ্কের হয়ে জমি সার্ভেয়ারের কাজ করতেন। শুক্রবার তিনি কাজে যাননি। ওইদিন দুপুরে বারাসত শহরে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারেন। দুপুরে বাড়ি ফেরার পর স্বাভাবিকভাবে খাওয়া দাওয়া করে বিকেলে ঘুরতে বেরিয়ে যান।
রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবারের তরফে তাঁর মোবাইলে ফোন করা হয়। তখন তিনি জানান, বারাসত স্টেশনে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারছেন। কিছু সময়ের মধ্যে বাড়ি ফিরবেন। এরপর রাতে ফোন করা হলেও কোনওভাবে যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা ভাবেন হয়ত কোনও বন্ধুর বাড়িতে রাতে থেকে গিয়েছেন। এদিন সকালে আবাসনের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন আবাসনের বাসিন্দারা। এরপর দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে বারাসতের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আচমকা এই ঘটনায় গিরি পরিবারের মাথায় কার্যত বাজ পড়েছে। শোকে মূহ্যমান পরিবারের সবাই।
কৃষ্ণানন্দবাবু বলেন, বাড়িতেও কোনও সমস্যা ছিল না। শুক্রবার বিকেলেও বাড়ি থেকে অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিকভাবে ঘুরতে বেরিয়েছিল। আমরা নিশ্চিত, ছাদ থেকে পড়ে ওর মৃত্যু হয়নি। ওকে মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এরপর ছাদে চটি ও জামা রেখে যাওয়া হয়েছে। ছাদ থেকে নীচে পড়লে, গাছের ডাল বা কেবল লাইন সহ অন্যান্য লাইন ছেঁড়া খুব স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু তা হয়নি। ওর কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে ঝামেলা ছিল। ওই ঘটনার ফলশ্রুতিতে এই ঘটনা ঘটেছে কিনা বুঝতে পারছি না। আমরা থানায় সমস্ত কিছু জানিয়েছি।