নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এবার কলকাতা পুরসভার মজদুর কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচনে শাসকদলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। বুধবার ওই সোসাইটিতে ছিল মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। তাতে আইএনটিইউসি নিয়ন্ত্রিত কেএমসি মজদুর পঞ্চায়েতের প্রার্থীরা মনোনয়ন পেশ করতে যান। সেই সময় তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী, মনোনয়নপত্র পেশ করতে বাধা দিয়ে গেটে তালা দিয়ে দেওয়া হয় এবং কেএমসি মজদুর পঞ্চায়েতের প্রার্থী দেবাশিস ঘোষের মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, তাঁকে রাস্তায় ফেলে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে। ঘটনার পর তাঁকে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক পরীক্ষার পর কলকাতা পুরসভার কমিশনারের কাছে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। দেবাশিসবাবু বলেন, প্রথমে আমাদের বাধা দেওয়া হয়। তারপর মনোনয়ন কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং আমাদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। যদিও সোসাইটির চেয়ারম্যান শচীনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কাউকে আটকানো হয়নি। মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানি না। তিনটে পর্যন্ত মনোনয়ন নেয়া হয়েছে। যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের মনোনয়ন নেওয়া হয়েছে।
কেএমসি মজদুর পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক দুলাল ঘোষ বলেন, শাসকদল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের সব দখল করার মানসিকতা। আমাদের প্রার্থীদের মারধর করা হয়েছে। অথচ, পুর প্রশাসন কার্যত পুতুলের ভূমিকা পালন করেছে। পুরসভার সচিব হরিহরপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। নির্বাচন কমিশন থেকে আধিকারিকরা এসে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পাদন করেন। তবে ইনটাকের সদস্যদের কথায়, সরকারের মনোনীত আধিকারিক এবং বিদায়ী চেয়ারম্যানের থাকার কথা থাকলেও তাঁরা ছিলেন না। ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রহসনে পরিণত হল। এদিন এই ঘটনা ঘিরে পুরভবন লাগোয়া এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। উল্লেখ্য, ওই সোসাইটিতে প্রায় ৩০-৩২টি আসন রয়েছে। এই সোসাইটির ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন।