কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
হাওড়া সিটি পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্কিম সেতু পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হলে স্টেশন ও উত্তর হাওড়ার সঙ্গে হাওড়া আদালত, জেলা প্রশাসন ভবন, পুরসভা ও জেলা হাসপাতালের যোগাযোগ কঠিন হয়ে যাবে। তাই এই সেতু আংশিক বন্ধ করে কাজ করার কথা ভাবা হচ্ছে। যদি তা না হয়, তাহলে কোন রুট দিয়ে এই গাড়িগুলি চালানো হবে, তাও এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হাওড়া সিটি পুলিসের এক কর্তা বলেছেন, বঙ্কিম সেতুর মেরামতি করার দরকার বলে কেএমডিএ আমাদের জানিয়েছে। সেইমতো মঙ্গলবার আমরা বৈঠকে বসব। তারপরই কীভাবে কাজ হবে বা বিকল্প কোন রুট দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে বঙ্কিম সেতু বন্ধ করে দেওয়া হলে বাঙালবাবুর ব্রিজ দিয়ে কিছু গাড়ি চালানো যেতে পারে। কিন্তু, যত সংখ্যক বাস, অটো ও প্রাইভেট গাড়ি বঙ্কিম সেতু দিয়ে চলাচল করে তা বাঙালবাবুর ব্রিজ দিয়ে চালানো সম্ভব নয়। তাই এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। মঙ্গলবারের বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সাতের দশকে হাওড়া শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগের জন্য বঙ্কিম সেতু তৈরি করা হয়। কিন্তু, সম্প্রতি সেতুর কিছু জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আগেই কেএমডিএ’র ইঞ্জিনিয়াররা এই সেতুর বর্তমান অবস্থা পরীক্ষা করে দেখেছেন। তারপরই মেরামত করার পরামর্শ দিয়েছেন। সেইমতো কেএমডিএ’র কর্তারা হাওড়া সিটি পুলিস ও পূর্ত দপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরই মঙ্গলবার বৈঠকের দিন ঠিক হয়েছে।
হাওড়া সিটি পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত ময়দান, শিবপুর ট্রাম ডিপো, বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রভৃতি এলাকার বিভিন্ন রুটের বাস, অটো ও প্রাইভেট গাড়ি মিলিয়ে প্রতিদিন পাঁচশোর বেশি গাড়ি এই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করে। জিটি রোড থেকে গাড়িগুলি বঙ্গবাসী মোড় হয়ে বঙ্কিম সেতুতে ওঠে। তারপর তা সোজা হাওড়া স্টেশনের দিকে যায়। আবার হাওড়া স্টেশন থেকে এই সেতু দিয়েই গাড়ি এসে পুরসভার সামনে আসে ও তারপর ফোরশোর রোড দিয়ে শিবপুরের দিকে যায়। এখন ময়দানে মেট্রো রেলের কাজের জন্য বঙ্গবাসী মোড় থেকে ফাঁসিতলা মোড় পর্যন্ত বড় গাড়ি চলাচল করার অবস্থা নেই। ফলে জিটি রোড থেকে গাড়ি বিকল্প কোন রাস্তা দিয়ে হাওড়া স্টেশন পাঠানো হবে, তা নিয়ে পুলিস কর্তারা ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন।
তবে পুলিসের এক কর্তা বলেছেন, সেতু পুরোপুরি বন্ধ থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী সেতু বন্ধ রাখতে হলে বিকল্প পরিকল্পনা নিতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে হাওড়া স্টেশনগামী অটোগুলি পুলিস কমিশনারের অফিসের সামনে দিয়ে নিয়ে গিয়ে রেল মিউজিয়ামের সামনে দিয়ে হাওড়া স্টেশন পাঠানো হতে পারে। তবে সব কিছু কেএমডিএ এবং পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শমতো করা হবে। যদিও পুলিস কর্তারা মনে করছেন, তিনদিন সেতুর কাজের জন্য জিটি রোড ও হাওড়া স্টেশন থেকে ময়দানে দিকে আসার রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা থাকছে।