কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
বলাগড় ব্লকের জিরাটের হাসিমপুরের জীর্ণ বাড়ির চাতালে দেখা হয়েছিল সোনার মেয়ের সঙ্গে। সাধারণ পরিবারের ততোধিক সাধারণ মেয়েটিকে দেখলে বোঝার জো নেই বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের বিশ্বব্যাপী সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় সে প্রথম হয়েছে। কানসংক্রান্ত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মেয়েটি কথাও বলে একটু থেমে থেমে। কন্যাশ্রী দিবসের মঞ্চে সংবর্ধনার বিষয়ে বলতে গিয়ে আবেগে জড়িয়ে যাচ্ছিল কথা। সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন মা অনিমাদেবী। বললেন, একদিন ওকে নিয়ে লোকের নানা কথা শুনেছি। কিন্তু মেয়ে তো আমারই। খুব কষ্ট হতো। আর আজও কথা শুনি। কিন্তু সে অন্য কথা। বুক জুড়িয়ে যায়। ততক্ষণে সড়গড় সুলতা। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বলে, কন্যাশ্রীর মঞ্চে সংবর্ধনা! এও আমার কাছে আরকেটা স্বর্ণপদকেরই মতো।
ছোটবেলা থেকেই সব খেলাতেই পারদর্শী ছিল সুলতা। কিন্তু প্রথমবার বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য রাঁচিতে আয়োজিত এক প্রতিযোগিতায় সুলতাকে সাইক্লিং বিভাগে নামিয়ে দিয়েছিলেন তার শিক্ষক অচিন্ত্য দত্ত। প্রথমবারেই প্রথম হয়ে পদক ছিনিয়ে নিয়েছিল সুলতা। তারপরেই ছোটবেলার সাইকেলই হয়ে উঠেছিল পারিবারিক ও ব্যক্তিজীবনে অভাবের শিকার মেয়েটির একমাত্র হাতিয়ার। এরপর ২০১৮ সালে বিশেষ বিশ্ব অলিম্পিকে ১০ কিমি সাইক্লিংয়ে তুফান তুলে প্রথম স্থান পায় সে। সেই সাফল্যই কন্যাশ্রী দিবসের মঞ্চে তাকে ডাক এনে দিয়েছে।