বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
এবার অক্টোবরের প্রথম দিকেই দুর্গাপুজো শুরু হয়ে যাচ্ছে। আগামী ৩ অক্টোবর পঞ্চমী। কাজেই চলতি মাসের শেষের দিক থেকেই কেনাকাটার জন্য শনি-রবিবারগুলিতে রাস্তায় ভিড় বাড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিষয়টি বিবেচনা করে আগামী ৩১ আগস্ট থেকে প্রতি শনিবার অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে। তেমনই ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতি রবিবার অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে।
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, আপ-ডাউন মিলিয়ে শনিবারগুলিতে বর্তমানে ২৩৬টি ট্রেন চালানো হয়। রবিবারগুলিতে বর্তমানে আপ-ডাউন মিলিয়ে ১২৪টি ট্রেন চালানো হয়। সেই জায়গায় শনিবারগুলিতে ২৮৪টি করে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা পাকা হয়ে গিয়েছে। রবিবারগুলিতে ট্রেনের সংখ্যা কমবেশি ১৫০টি রাখা হচ্ছে বলে মেট্রো সূত্রের খবর। মেট্রো রেলের এক কর্তা বলেন, পুজো শুরুর ঠিক আগের রবিবার অর্থাৎ, ২৯ সেপ্টেম্বর যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতে ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে ২০০-র উপর নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মেট্রো রেলের একটি সূত্রের দেওয়া তথ্য বলছে, এবারের পুজোয় বিশেষ সূচিতে ট্রেন চালানো শুরু হবে ২ অক্টোবর, চতুর্থী থেকে। চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে সকাল আটটায়। এই দিনগুলিতে দুই প্রান্ত থেকে শেষ ট্রেন ছাড়তে পারে রাত ১১টা ১০ মিনিটে। সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীতে একটু বেলায় ট্রেন পরিষেবা শুরু করিয়ে ভোর পর্যন্ত ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা প্রাথমিকভাবে করা হয়েছে। দশমীর দিনও বিশেষ সূচিতে ট্রেন চালানোর কথা হয়েছে।
কেবল ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিই নয়, দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করা হবে বলে খবর। মেট্রোর এক কর্তার কথায়, বিভিন্ন স্টেশনে আরপিএফের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে ক্যুইক রেসপন্স টিম রাখা হবে। অবস্থানগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্টেশনে মোতায়েন করা হবে কমান্ডো বাহিনী। এসবের পাশাপাশি কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে সর্বদা নজরদারি চালানো হবে।
বর্তমানে জোর করে দরজা আটকে ট্রেনে ওঠার প্রবণতার জেরে বিপত্তি বাধছে পাতালপথে। পুজোয় পাতালপথে ভিড় বাড়বে আরও। সেই সময় এই সমস্যা এড়ানো যাবে কীভাবে? বিষয়টি নিয়ে মেট্রোর এক কর্তা বলেন, এই প্রবণতা বন্ধে ইতিমধ্যেই জরিমানা করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের। তার সঙ্গে চলছে জোরদার প্রচারও। প্রচারের জন্য একটি ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। পুজোর সময়ে প্ল্যাটফর্মে আরও বেশি কর্মী মোতায়েন করা হবে। তাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যাত্রীরা যাতে সুষ্ঠুভাবে ট্রেনে ওঠা-নামা করতে পারেন, তা দেখবেন তাঁরা। এছাড়া, স্টেশনে কেউ জখম বা অসুস্থ হয়ে পড়লে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তার জন্য কয়েকটি স্টেশনে বিশেষ বুথ খোলা হবে বলে খবর। তবে, মেট্রোর প্রতিটি স্টেশনেই চিকিৎসার সরঞ্জাম দরকার মতো ব্যবহার করা হবে বলে জানাচ্ছেন কর্মী-অফিসাররা।