নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উত্তরপ্রদেশে দলিত হত্যার প্রতিবাদে শামিল হল কলকাতা। শুক্রবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদ সভা করা হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক করে উত্তরপ্রদেশের পুলিস। তার প্রতিবাদে প্রদেশ কংগ্রেসের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। এদিন সংসদে সোনভদ্রে ১০ জন দলিত আদিবাসীকে হত্যার নিন্দায় সরব হন তৃণমূল সদস্যরা। দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন জানান, ওই গ্রামে অত্যাচারিত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে পরিদর্শনে যাবে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। সেই দলে সুনীল মণ্ডল, আবির বিশ্বাস ও প্রাক্তন সাংসদ উমা সোরেন আজ শনিবার সোনভদ্রে যাবেন। এদিন রাজ্য তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। তাঁর মতে, বিজেপির শাসনে দেশে ধর্মীয় বিভাজন যেমন সক্রিয়, তেমনই দলিত আদিবাসীদের অস্তিত্ব বিপন্ন। উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে মানুষের কোনও নিরাপত্তা নেই, এই ঘটনায় সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।
এদিন সোনভদ্রের ওই গ্রামে যাওয়ার পথে প্রিয়াঙ্কাকে আটক করা হয়। এর প্রতিবাদে বিধান ভবনের সামনে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কংগ্রেস কর্মীরা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ টেনে প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি সাদাব খানের দাবি, একদিকে সঙ্ঘ পরিবারের অসহিষ্ণুতার শিকার হচ্ছে সংখ্যালঘু ও দলিতরা, অন্যদিকে তার প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।