বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, প্রথম দফার পর ১,২৪৮, দ্বিতীয় দফার পর ১,২২৮ এবং তৃতীয় দফার পর ১,১৯১ জন ভর্তি হন। বলা ভালো, এই পড়ুয়ারা রিপোর্টিং সেন্টারে গিয়ে যাদবপুরের নাম বেছে নিয়েছিলেন। তারপর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে রোল নম্বর নিতে আসতে হয়। সেটি পেলেই ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন। তাতে প্রথম দফার পর কয়েকজন ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় দফার পর সেই সংখ্যা আরও কিছুটা বাড়ে। তৃতীয় দফার পর যে ১,১৯১ জন রিপোর্টিং সেন্টারে গিয়ে যাদবপুরে পড়ার জন্য নথিভুক্ত করেছিলেন, তাঁদের গত ১৭ থেকে ২০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন পড়ুয়া আসেননি। ফলে ধরে নেওয়া হচ্ছে, তাঁরা অন্যত্র চলে যাবেন। হাতে আরও একদিন রয়েছে। সেদিনও যদি আরও কয়েকজন না আসেন, তাহলে চিন্তা আরও বাড়বে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১,২৭৩টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ১৫০-২০০ আসন খালি থেকে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে বলেই খবর। সেক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকৃত কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় যেতে হবে কর্তৃপক্ষকে। এক কর্তার কথায়, ভর্তির প্রবণতা যেভাবে শুরু হয়েছিল, তাতে আমরা ভেবেছিলাম তৃতীয় রাউন্ডে সব আসন ভরে যাবে। কিন্তু ফল উল্টো হল। কেন এই অবস্থা? বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের খবর, আইআইটি’র ভর্তি শেষ হয়ে গেলেও এনআইটিগুলিতে ভর্তি চলছে। অনেকে প্রথমে যাদবপুরে ভর্তি হয়ে গেলেও, পরে সেখানে সুযোগ পেয়ে এই প্রতিষ্ঠান ছেড়ে দিয়েছেন। আবার কেউ ভিনরাজ্যে চলে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে ভর্তির শেষটা মধুর হল না। এদিকে, স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় দফা কাউন্সেলিং শুরু হবে ২২ জুলাই থেকে। তা চলবে ২৩ জুলাই পর্যন্ত।