বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই ঘটনায় স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স চালকদের একাংশের বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ তুলেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বেআইনিভাবে রোগীদের নিয়ে যাওয়ার কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কারণেই এদিনের বিক্ষোভ সংগঠিত করা হয়েছিল। তবে ছয় বছর ধরে জেনারেটর বিকল থাকার বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নিয়েছে। চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক তথা বিএমওএইচ বলেন, আমাদের নিজস্ব মেশিনটি খারাপ হয়ে থাকায় আমরা বিকল্প জেনারেটর মেশিনের ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম। কিন্তু, এদিন কোনও কারণবশত সেটিও বিকল হয়ে যাওয়ায় সামান্য সমস্যা হয়েছিল। কোথাও অস্ত্রোপচার বন্ধ করা হয়নি। সামান্য সময় বিদ্যুৎ ছিল না তাতে বড় কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অন্য কোথাও থেকে গোটা বিষয়টি সংগঠিত করা হয়েছিল।
তাঁর দাবি, মানুষ ভালো করেই জানেন যে, এই হাসপাতালে যথেষ্ট ভালো পরিষেবা দেওয়া হয়। এ দিনও দশটির বেশি অপারেশন করা হয়েছে। হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীরবাবু বলেন, ২০১৩ সাল থেকে হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর মেশিন খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। আপৎকালীন প্রয়োজনে একটি জেনারেটর মেশিনের ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ করলেও গত কয়েকদিন ধরে তাও খারাপ হয়ে আছে। ফলে এ দিন হাসপাতালে শুরুতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে রোগীদের কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়। সেই কারণেই একটি বিক্ষোভ হয়েছিল। বিষয়টি যেমন মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে, তেমনি অতি দ্রুত একটি স্থায়ী জেনারেটরের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। মানুষ যাতে পরিষেবা পেতে গিয়ে সমস্যায় না পড়ে তা আমরা দেখব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালে মূলত প্রসূতিদের অস্ত্রোপচার এবং বন্ধ্যাত্বকরণ করা হয়। প্রতিদিনই প্রায় ১৫টির বেশি অস্ত্রোপচার এই হাসপাতালে হয়ে থাকে। এদিনও পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুসারে অনেকে এসেছিলেন। কিন্তু, সকাল থেকে অস্ত্রোপচারের কাজ শুরু না হওয়ায় রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালে বিক্ষোভ শুরু করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কথা বলতেই জেনারেটর চালিয়ে অপারেশন করানোর প্রশ্ন বিক্ষোভকারীরা তোলেন। তখনই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা জেনারেটরের সমস্যা সামনে আসে।