বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
যদিও মেনুর পরিবর্তন নিয়ে তৃণমূলের উত্তর হাওড়ার সভাপতি গৌতম চৌধুরি ভিন্ন মত পোষণ করেন। তিনি বলেন, অনেক মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ আমাদের সভায় আসেন। তাঁরা এই চিকেন খান না। তাই গতবার অনেকে মুরগির ঝোল খাননি। সে কারণেই এবার আমরা ডিম-ভাতের ব্যবস্থা করেছি। আর আমাদের কর্মীদের খাবারের খরচ আমাদের কর্মীরাই বহন করেন।
শুক্রবার থেকেই হাওড়া স্টেশনে মঞ্চ করে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে আসা কর্মীদের নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। স্টেশনে নামার পর তাঁদের সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম ও আলিপুরের উত্তীর্ণতে পাঠানোর জন্য ৫০টি গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন ভোরেই বেশ কিছু কর্মী উত্তরবঙ্গ থেকে এসেছেন। তাঁদের স্টেশন থেকেই বাসে করে ওই জায়গায় পাঠানো হয়েছে।
আজ, শনিবার ভোর থেকে অধিকাংশ কর্মী আসতে শুরু করবেন। সেই কারণে আজ, বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। রবিবার হাওড়া থেকে প্রায় ৯৫০টি বাস তোলা হয়েছে। ফলে ওইদিন সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। হাওড়া স্টেশন থেকে কর্মীদের সল্টলেক, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম ও উত্তীর্ণ পাঠানোর জন্য পরিবহণের দায়িত্বে থাকা জেলা তৃণমূল নেতা বিভাস হাজরা বলেছেন, উত্তরবঙ্গ থেকে প্রায় এক লক্ষ মানুষ আসবেন। সেইমতো আমরা বাসের ব্যবস্থা করেছি। আর রবিবার ছুটির দিন, সমস্ত অফিস বন্ধ। তাই মানুষের ভোগান্তি কম হবে।
হাওড়ায় এবার থাকার জন্য উত্তর হাওড়ার প্রায় ২০টি অনুষ্ঠান বাড়ি ও ২৫টি স্কুল নিয়েছে তৃণমূল। সেখানেই কর্মীদের রাখা হবে। আজ, শনিবার বিকাল থেকেই কর্মীরা আসতে শুরু করবেন। শুক্রবারই উত্তর হাওড়ার শ্যাম গার্ডেনে রান্নার আয়োজন সম্পূর্ণ হয়েছে। আজ, সকাল থেকেই কর্মীদের জন্য রান্না শুরু হবে। শনিবার সারারাত রান্না চলবে। রবিবার সকাল ৯টার মধ্যেই কর্মীদের হাতে খাবারের প্যাকেট দিয়ে ধর্মতলার দিকে রওনা করানো হবে। রবিবার বেলা ১১টায় হাওড়ায় বঙ্কিম সেতুর নীচে থেকে জেলা তৃণমূলের একটি মিছিল ধর্মতলায় যাবে। এই মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরূপ রায়।