পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মেটালার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পাশেই ছিল গাছটি। আচমকা একদিন অধ্যাপক-শিক্ষাকর্মী-পড়ুয়ারা আর সেই গাছটিকে দেখতে পাননি। পড়েছিল শুধু গাছের গুঁড়ি। পরে একদিন সেটিও শিকড় সহ তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। মেহগনি গাছটির বয়স কম করে ২০-৩০ বছর। বন দপ্তরের আধিকারিকদের মতে, এমন পূর্ণবয়স্ক একটি গাছ বাজারে বিক্রি করলে কয়েক লক্ষ টাকা মিলবে। এইভাবে এত পুরনো গাছ কেটে ফেলা ঠিক নয়। তবুও ক্যাম্পাসের মধ্যে গাছটি কেটে ফেলা হল, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কিছুই করতে পারল না কেন? প্রশ্ন অধ্যাপকদের। অধ্যাপক সংগঠন জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের মতে, চুরি, তারপর এভাবে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছুই করে উঠতে পারল না। কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নজর এড়িয়ে এই কাজ করা হল, তা ভেবেই আমরা অবাক হচ্ছি।
এদিকে, চারটি বিভাগে চুরির ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। তাই সেই বিভাগগুলি পরিদর্শন করেন উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং সহ উপাচার্য। বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। কীভাবে এবং কী পদক্ষেপ করলে এই রকমের ঘটনা এড়ানো যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি যা, চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার না করা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা শিক্ষকদের। কারা এই ঘটনায় জড়িত, তা এতদিনেও চিহ্নিত না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে ক্যাম্পাসে।
এদিকে, যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতকস্তরে ভর্তির দ্বিতীয় রাউন্ডের পর ৫০-এর কম আসন ফাঁকা পড়ে রইল। প্রথম দফায় ১০৭০টি আসন ভরেছিল। দ্বিতীয় দফার শেষে দেখা যাচ্ছে, ১২২৮টি আসনে পড়ুয়ারা ভর্তি হয়েছেন। মোট আসন যেখানে ১২৭৩, সেখানে আর মাত্র ৪৫টি আসন পড়ে রয়েছে। তৃতীয় দফা কাউন্সেলিং হবে ১৫, ১৬ এবং ১৭ জুলাই। এক আধিকারিকের মতে, এবারের যা ঝোঁক, তাতে বিকেন্দ্রীকৃত কাউন্সেলিংয়ে নাও যেতে হতে পারে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, এটা ভালো লক্ষণ। এক প্রকার রেকর্ড বলা যেতে পারে। আমরা এতে বেশ খুশি। স্নাতকের পাশাপাশি শুক্রবার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতকোত্তরের ভর্তিও শুরু হয়। প্রথম দিনেই ২০০ জনের মতো ভর্তি হয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।