কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে শহরের পরিষেবা নিয়ে যত অভিযোগ এসেছে, তার একটা বড় অংশই জঞ্জাল অপসারণ সংক্রান্ত। আবর্জনা পরিষ্কার করে শহরকে সুন্দর রাখার অন্যতম দায়িত্ব পালন করে পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এই বিভাগে কর্মী সংখ্যা কমে যাওয়া এবং আরও নানা কারণে পরিষেবা যে ব্যাহত হচ্ছে, তা নিয়ে বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে এলেও, খুব একটা কানে তোলেনি শাসকপক্ষ। উল্টে তাদের দাবি ছিল, আগের তুলনায় কলকাতা যে এখন অনেকটাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, তা যে কোনও সমালোচকই বলবেন। তবে ‘টক টু মেয়র’ চালু হওয়ার পর জঞ্জাল অপসারণ নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ এবং সম্প্রতি পুর-কমিশনারের জারি করা এই নির্দেশিকা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এই বিভাগের কাজ শহরের সব জায়গায় ঠিকমতো হচ্ছে না।
তবে পুরসভার সাফাইকর্মী মহলে ইতিমধ্যে এই নির্দেশিকা নিয়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৭৮ সালের আগে পর্যন্ত সাফাইকর্মীদের সকালে চার ঘণ্টা ও বিকেলে চার ঘণ্টা করে কাজ করতে হত। পরে তা ছ’ঘণ্টার করে দেওয়া হয়। সকাল ছ’টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়র থাকাকলীন এই সময়সীমা বাড়িয়ে আট ঘণ্টা করে দেওয়া হয়। তখন পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবনে এবং বরো কার্যালয়গুলিতে সাফাইকর্মীরা ব্যাপক আন্দোলন করেন সময়সীমা ফের ছ’ঘণ্টা করে দেওয়ার ব্যাপারে। সেই আন্দোলনের জেরে পুরসভা একঘণ্টা সময় কমিয়ে সাত ঘণ্টার কাজ করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু এখনও সাফাইকর্মীদের বড় অংশ আগেকার ছ’ঘণ্টার নিয়ম ফিরিয়ে আনতেই বদ্ধপরিকর বলে জানা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেএমসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনুতোষ সরকার বলেন, আমরা ছ’ঘণ্টার কাজের সময় ফিরিয়ে আনার দাবিতে আরও বড় আন্দোলন করব। তাঁর পাল্টা দাবি, পুরসভায় প্রায় ১৪ হাজার অনুমোদিত সাফাইকর্মীর পদ রয়েছে। এর মধ্যে সাত হাজারেরও বেশি পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। সেই পদ পূরণে সবার আগে মনোযোগী হওয়া দরকার কর্তৃপক্ষের। যত কাজই সাফাইকর্মীরা করুন না কেন, সাত হাজার কর্মীর বকেয়া কাজ কি আর করা সম্ভব। সেই দিকে নজর না দিয়ে এখন নাগরিক পরিষেবায় গাফিলতির দায় কর্মীদের ঘাড়েই সুকৌশলে চাপাতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। তাঁরা অবিলম্বে সমস্ত শূন্যপদ পূরণ এবং সাফাইকর্মীদের ছ’ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন। আইএনটিইউসি অনুমোদিত মজদুর পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক দুলাল ঘোষ বলেন, শূন্যপদ পূরণ সবার আগে প্রয়োজন। তা না করে কর্মীদের মধ্যে একটা ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা হচ্ছে। কর্মীবিরোধী কোনও নির্দেশিকার বিরোধিতা করছি আমরা।