আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
এদিকে ওই বিতর্কিত নির্দেশনামা হাতে পেয়ে অসম্মানিত ও ক্ষুব্ধ সুপার ডাঃ রমাপ্রসাদ রায় ছোটেন স্বাস্থ্যভবনে। দেখা করেন রাজ্যের কার্যনিবাহী স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা) ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্যের সঙ্গে। এ ধরনের বিতর্কিত নির্দেশের জন্য দেবাশিসবাবু তুমুল ভর্ৎসনা করেন ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ ফিরদৌস আহমেদকে। বুধবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পরামর্শের সুরে ডাঃ আহমেদ বলেন, এসব বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের না ঢোকাই ভালো। দপ্তরের অভ্যন্তরীণ এবং গোপনীয় বিষয় এগুলি। সুপার ডাঃ রমাপ্রসাদ রায় বলেন, আমার ধারণা, অধ্যক্ষ মানসিকভাবে অসুস্থ। না হলে এমন নির্দেশ জারি করেন! গোটা বিষয়টি স্বাস্থ্যভবনকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে রাজ্যের কার্যনিবাহী স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা) দেবাশিসবাবু বলেন, আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি এ নিয়ে। এই নির্দেশ প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে অধ্যক্ষকে। এভাবে এইসব করা যায় না। সূত্রের খবর, সহকর্মী এবং হাসপাতালের প্রশাসনিক প্রধানের উদ্দেশে এমন নির্দেশ জারি করায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে স্বাস্থ্য দপ্তর।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের পাঁচটি নতুন মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে সর্বপ্রথম ডায়ামন্ডহারবার মেডিক্যাল কলেজ মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার (এমসিআই) কাছ থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরও নতুন পাঁচ মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে প্রথমদিকে নিজেদের সিংহভাগ উদ্যম ঢেলে দিয়েছিল এই মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামোগত খামতি পূরণে। এমনকী স্রেফ এমসিআই অ্যাসেসররা আসবেন বলে, অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজে কর্মী সঙ্কট রয়েছে জেনেও দীর্ঘদিন এখান থেকে কর্মী ও চিকিৎসকদের অস্থায়ীভাবেও অন্যত্র বদলি করেনি। সেদিক থেকে সরকারের মুখরক্ষা করলেও এই বিতর্কিত চিঠির জেরে ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে চারদিকে।