বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, স্কুলে ক্লাস চলাকালীন পলির কিছু আচরণ নিয়ে গত শনিবার প্রধান শিক্ষক তপন দাস ছাত্রীর বাবা পূর্ণ সাধুখাঁকে সোমবার ডেকে পাঠান। তিনি স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক সকলের সামনে পলির আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্কুলের অন্য শিক্ষকদের সামনে বাবাকে অপমানিত হতে দেখে পলি বাড়ি ফিরে মনমরা হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার পলি স্কুলে না গিয়ে নিজের পড়ার ঘরে পড়াশুনা করতে থাকে। পরে দুপুরে খেতে না বের হলে বাড়ির লোকজন দরজা ঠেললে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপরই পূর্ণবাবু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
বুধবার হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিসের পদস্থ কর্তারা মৃত ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। এদিন তারা মৃত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এদিকে বুধবার স্কুলে শোকপালন না হওয়ায় অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এই ঘটনার জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দায়ী করেছেন পলির মা ববিতা সাধুখাঁ। যদিও প্রধান শিক্ষক তপন দাসের অভিযোগ, পলির আচার-আচরণ আমাদের ভালো না লাগায় স্কুলের নিয়মানুযায়ী ছাত্রীর অভিভাবককে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। যদিও তাঁর দাবি, আমি কোনও অপমান করিনি। পলি আমাদের সামনেই তার বাবাকে অপমান করেছে। তিনি বলেন, ছাত্রীর মৃত্যুতে পরিবারকে সমবেদনা জানানোর ভাষা আমাদের কাছে নেই।