বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
এদিন মোট ৩৫ জন কাউন্সিলার অনাস্থা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। মোট ৪১ জনের বিধাননগর পুরসভায় একজন সিপিএম এবং একজন কংগ্রেসের কাউন্সিলার রয়েছেন। এছাড়া মেয়র স্বাক্ষর করেননি। চেয়ারপার্সন সই করতে পারেন না। মেয়রকে সরানোর জন্য অনাস্থা প্রস্তাবে কাউন্সিলারদের স্বাক্ষর করা নিয়ে বিস্তর টালবাহানা চলে সোমবার রাত থেকেই। রবিবার তৃণমূল ভবনে বৈঠক এবং পরবর্তী সময়ে সোমবার পুরসভায় গিয়ে প্রায় সকলেই অনাস্থার সপক্ষে মত প্রকাশ করেছিলেন। দলীয় সূত্রের খবর, তা সত্ত্বেও অনেক কাউন্সিলারই অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করা নিয়ে টালবাহানা করছিলেন। এনিয়ে মঙ্গলবার দলের শীর্ষ নেতারা দফায় দফায় একাধিক কাউন্সিলারকে ফোনও করেন। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার দুপুরে ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৩৫ জন কাউন্সিলারের স্বাক্ষর করা অনাস্থাপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষ্ণা চক্রবর্তীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। পর মুহূর্তেই চেয়ারপার্সন সেই অনাস্থাপত্র বিধাননগর পুরসভার বর্তমান কমিশনারের কাছে জমা দেন। উল্লেখ্য, কমিশনার ছুটিতে থাকায় ডেপুটি কমিশনার এখন সেই দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন।
পুর আইন মোতাবেক সাত দিনের নোটিস দিয়ে কাউন্সিলারদের আগামী ১৮ জুলাই পুরসভার বিশেষ অধিবেশনে ডাকা হচ্ছে। তারপরে সেখানেই অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হবে। প্রয়োজনে ভোটাভুটিও হতে পারে। তবে ধ্বনিভোট নাকি গোপন ব্যালটে ভোটাভুটি হবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার বর্তমান বোর্ডের প্রধান হিসেবে কৃষ্ণা চক্রবর্তীর। মেয়র সব্যসাচী দত্ত জানান, ১৮ জুলাইয়ের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। ভোটে হারবেন নাকি জিতবেন? সব্যসাচীবাবুর জবাব, ভোটে হেরে গেলে ফের ‘বিরোধী’ তথা সাধারণ পুর প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন। বিজেপির কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কি না? এর উত্তরে বলেন, এখনও কেউ যোগাযোগ করেনি।
এই ডামাডোলের মধ্যেই আজ, বুধবার পুরসভার পূর্বনির্ধারিত একটি মাসিক অধিবেশন রয়েছে। সেখানেও তিনি হাজির থাকবেন বলে সব্যসাচীবাবু জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পিঠ দেখিয়ে আগে কোনওদিন পালাননি, এবারও পালাবেন না। আগামী ১৮ জুলাই বিশেষ অধিবেশনে অংশগ্রহণ করবেন তিনি। ভোটাভুটিতেও অংশ নেবেন। এদিন অনাস্থায় যে দু’জন স্বাক্ষর করেননি, তাঁরা হলেন মেয়র পরিষদ সদস্য প্রসেনজিৎ সর্দার এবং অনুপম ভাণ্ডারী।