আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
এদিন পুর আধিকারিকরা পুজোকর্তাদের স্পষ্ট করে বলেন, পার্কের উপরে নিরাপত্তার কারণে পুজোর অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ওই দমকল কেন্দ্রের ভিতরের অংশে পুজোর আয়োজন করা যায় কি না, তা দেখা উচিত। উদ্যান বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দেবাশিস কুমার বলেন, দমকল দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে এব্যাপারে কথা বলা হবে। পুজো কমিটির কর্তাদেরও বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আবেদন করতে। দমকলের তরফে ‘এনওসি’ মিললেই সেখানে পুজো করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকবে না। তবে পুজো কমিটির কর্তাদের একাংশ এদিন বলেন, নিরাপত্তার কারণে পুজোর জায়গাটি স্থানান্তরের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে পুজো হলে তা জৌলুস হারাবে। কিন্তু আমাদের হাতে কিছু নেই। পুরসভা যেভাবে অনুমতি দেবে, সেই অনুযায়ী পুরো পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
এদিন পুর আধিকারিকরা ওই এলাকায় পৌঁছে প্রথমে পার্কে যান। তাঁরা পার্কের উপর থেকে নীচে থাকা বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের যে কাজ শুরু হয়েছে, তা প্রথমে খতিয়ে দেখেন। এদিন থেকে মূলত এই বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের ভিতরের বেশ কিছু কাজকর্ম শুরু হয়েছে। জল সরবরাহ বিভাগের ডিজি মৈনাক মুখোপাধ্যায় বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের ভিতরকার অবস্থা খতিয়ে দেখেন। অন্যদিকে, উদ্যান বিভাগের ডিজি দেবাশিস চক্রবর্তী বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের উপরে পার্কের যে কাজ চলছে, সেটি দেখার পর তিনি বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা বুস্টার পাম্পিং স্টেশনটির উপরের পার্কে পুজো করার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিচ্ছেন না। কারণ পাম্পিং স্টেশনের ভিতরের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। তাই এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হলে বড়সড় বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে। উদ্যান বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দেবাশিস কুমার বলেন, মানুষের বিপদ ডেকে আনতে ওই বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের উপরে পুজো করার অনুমতি দিতে পারি না। পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে শীর্ষ আধিকারিকরা মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে রিপোর্ট দেবেন বলে জানিয়েছেন।