আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
৩৪ বছরের বাম রাজত্বের মধ্যে টানা সাড়ে ২৩ বছর মুখ্যমন্ত্রী থেকে রেকর্ড করেছিলেন প্রয়াত এই কমিউনিস্ট নেতা। ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল সরকার তাঁর নামাঙ্কিত উপনগরীর নাম বদলে দেয় আইন এনে। এনিয়ে সে সময় সিপিএম এবং গোটা বাম শিবির তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বহু বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশও করে তারা। তাকে অবশ্য বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি শাসকপক্ষ। তবে লোকসভা ভোটের পর বিজেপিকে ঠেকাতে ইদানীং বাম ও কংগ্রেসকে তৃণমূল নেতৃত্ব আগের তুলনায় বাড়তি গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। বিধানসভায় এই দুই বিরোধীপক্ষের সঙ্গে সরকারপক্ষের ঘনিষ্ঠতা লক্ষ্যণীয় হয়ে উঠেছে গত কয়েকদিন ধরে। এই অবস্থায় জ্যোতিবাবুর জন্মদিনেই সরকারের মত পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সুজনবাবুর চিঠি দেওয়া রাজনৈতিক মহলের জল্পনা আরও একধাপ বাড়িয়েছে।
বিধানসভায় উল্লেখের পর সুজনবাবু এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, সল্টলেক উপনগরী বিধান রায়ের নামে করেছিল জ্যোতি বসুর নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার। তাঁর প্রয়াণের পর তাঁকে যোগ্য সম্মান দিতেই বাম সরকার ওই উপনগরীর নাম রেখেছিল জ্যোতি বসু নগর। এব্যাপারে ২০১০ সালের অক্টোবরে বিধানসভায় বিল পাশও হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল সরকার রাজনৈতিক দৈন্যতার কারণে সেই নাম বদলে দেয়। এটা সুস্থ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিচয় দেয় না।
পুরমন্ত্রী অবশ্য সদনের ভিতরে এবং বাইরে এবিষয়ে যা বলেন তার মোদ্দা অর্থ হল, জ্যোতি বসু নগর নামকরণ করার ক্ষেত্রে বাম সরকার কোনও মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত করেনি। এনিয়ে কোনও আইনও ছিল না। শুধু মুখে মুখে ওরা এই নাম প্রচার করেছিল। তাছাড়া নিউটাউন নামটি অনেক বেশি জনপ্রিয়।
এদিকে, এদিন অধিবেশনের বিরতিতে বিধানসভার লবিতে জ্যোতিবাবুর পূর্ণাবয়ব তৈলচিত্রের সামনে অন্যান্য মনীষীদের মতোই শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করার ব্যবস্থা করা হয়। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও সুজনবাবু প্রায় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে জ্যোতিবাবুর ছবিতে মাল্যদান করেন। বিজেপি’র পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গাও শ্রদ্ধা জানান প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীকে।