আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
নতুন সিপির নির্দেশ, যে কোনও ধরনের অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। তার এলাকা নয়, এই যুক্তি দেখিয়ে কোনও থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নির্দেশ পালন না করায় সাসপেন্ড হয়েছেন এক সাব ইন্সপেক্টর। পাশাপাশি রাতের শহরে নিরাপত্তা বাড়ানোর দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। নালিশ পেয়েই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। তার প্রমাণ মিলেছিল সপ্তাহখানেক আগেই। চলন্ত বাসে এক মহিলা শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন, ১০০ ডায়ালে এই ফোন পেয়ে মাত্র নয় মিনিটের মধ্যে অভিযুক্তকে বাস থেকে ধরে ফেলে পুলিস। রবিবারে পুলিসের ব্যবস্থা গ্রহণের সময় ছিল আরও কম, মাত্র পাঁচ মিনিট। ওই রাতে, ৮.৫৫ মিনিট নাগাদ ১০০ ডায়ালে ফোন করেন এক মহিলা। জানান নিউ আলিপুর থানা এলাকার একটি বহুতলে এক নিরাপত্তারক্ষী তাঁর শ্লীলতহানি করছেন। মহিলা নিজের নাম ও পরিচয় ফোনেই জানান। অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয়ে ওঠে পুলিস। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি কন্ট্রোল রুমের তরফে জানানো হয় নিউ আলিপুর থানায়। থানার ওসি কালবিলম্ব না করে দ্রুত ঘটনাস্থলে তাঁর টিম পাঠিয়ে দেন। মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে ওই বিল্ডিংয়ে পৌঁছে যান অফিসাররা। মহিলা সেখানকারই এক নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাকে জেরা করে পুলিস। জানা যায়, সে এই ঘটনায় অভিযুক্ত। তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। মহিলা পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ করার পর নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।
অন্যদিকে লেক থানা এলাকায় বিগত তিন মাসে একাধিক শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত বিকাশকুমার গুপ্তা নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বাইক। পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই যুবক লেক এলাকায় বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়াত। শুনশান রাস্তা দিয়ে কোনও মহিলা গেলেই তাঁর শ্লীলতাহানি করত অভিযুক্ত। এই নিয়ে তিনটি অভিযোগ জমা পড়ে লেক থানায়। এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ঘটনাগুলি ঘটে। কিন্তু অভিযুক্তকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই এলাকায় থাকা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেখান থেকে জোগাড় করা হয় বাইকের নম্বর। তার সূত্র ধরেই ওই যুবককে চিহ্নিত করা হয়। এরপর রবিবার রাতে অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে সোমবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।