বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, এখনও পর্যন্ত আমি কোনও ইস্তফাপত্র হাতে পাইনি। তবে কিছু চিকিৎসক এনআরএসের ঘটনার জেরে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন। ইস্তফাপত্র হাতে পেলে দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রখ্যাত তথা হাসপাতালের বর্ষীয়ান শল্য চিকিৎসক প্রকাশ সামন্ত বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন যথেষ্ট সময়োপযোগী এবং বাস্তবসম্মত। রাজ্য সরকার এখনও তাঁদের দাবিতে সাড়া দিচ্ছে না। তাই আজ আমরা চুঁচুড়া হাসপাতালের সুপার সহ মোট ১৪ জন চিকিৎসক প্রথম দফায় গণইস্তফাপত্রে স্বাক্ষর করেছি। শনিবার হওয়ায় জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে স্বাক্ষর সম্বলিত ওই গণইস্তফাপত্র রয়েছে সুপারের কাছে। আগামীকালের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে সোমবার সকালে জেলার কমপক্ষে ৫০ জন চিকিৎসক ওই চিঠিতে সই করে গণইস্তফা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে প্রকাশবাবু বলেন, সরকার গণইস্তফা গ্রাহ্য করুক বা না করুক সেটা সরকারি ব্যাপার। তবে আমরা যেই মুহূর্তে গণইস্তফাপত্র জমা দেব, সেই মুহূর্ত থেকে আমরা আর কাজ বন্ধ করে দেব বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে সময় ও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বদলও হতে পারে।
অন্যদিকে, এনআরএস ইস্যুতে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থনে শনিবার সকালে উত্তরপাড়ায় প্রতিবাদ মিছিল করেন চিকিৎসকরা। এদিন সকালে উত্তরপাড়া স্টেশনের কাছ থেকে কালো ব্যাজ ও প্রতিবাদ স্লোগান লেখা ব্যানার নিয়ে শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে স্টেট জেনারেল হাসপাতাল পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করেন। যদিও এই প্রতিবাদ মিছিলের পর সমস্ত চিকিৎসকরাই অন্যান্য দিনের মতোই নিজেদের ডিউটি পালন করেন।