পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দীঘা থেকে বাবা জ্যোতির্ময় পণ্ডাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন ছেলে পবিত্র পণ্ডা। পবিত্রবাবু বললেন, হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে বাবাকে এনেছিলাম। কেমোর ওষুধপত্র সঙ্গে নিয়েও এসেছিলাম। এসে দেখি, ডাক্তাররা ‘ধিক্কার, ধিক্কার’ বলছেন আর চিৎকার করছেন। কয়েকজন হাসপাতালে পোস্টার লাগাচ্ছেন। বলছেন, আমরা এনআরএস-এর ঘটনার সহমর্মী। আজ কেমো দেব না। কাজ করব না। বাবার আমার স্টেজ থ্রি লিভার ক্যান্সার। বলুন দেখি, কী করি? এত দূর থেকে আসা, যাতায়াত খরচ সব জলে গেল। গোবরডাঙা থেকে এসেছিলেন স্টেজ ফোর ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী দিলীপ বিশ্বাস। তাঁর স্ত্রী জানালেন, কেমোর ইঞ্জেকশন নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু, ডাক্তাররা জানালেন, এখন ধর্মঘট চলছে। তাই কেমো দেওয়া যাবে না। অনেক অনুরোধ-উপরোধের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডাক্তারবাবুদের সঙ্গে আলোচনা শেষে আমাদের জানাল, আজ, বৃহস্পতিবার কেমো দেওয়া হবে। এদিন একই রকমের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে বর্ধমান থেকে আসা শেখ নাসের আলি, রুশা খাতুন সহ বহু রোগী ও বাড়ির লোকজনকে।
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডাঃ শঙ্কর সেনগুপ্তকে ফোন করা হয়। ফোন ধরেননি। ফোন বন্ধ ছিল অধিকর্তা ডাঃ জয়ন্ত চক্রবর্তীরও। হাসপাতালের এক কর্তা বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ধর্মঘটের জন্য দেওয়া যায়নি। নতুন রোগীদের আজ দেওয়া হবে।
সিএনসিআই সূত্রের খবর, এদিন সকাল সাড়ে ন’টা থেকে হাসপাতালের জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশ কাজ বন্ধ করে দেন। এনআরএস-এ চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদে পোস্টার লাগানো শুরু হয়। এদিকে রোগী ও বাড়ির লোকজনদের ভিড় বাড়তে থাকে। তাঁদের অনেকেই বলেন, আমরা সকালে হাসপাতালে ফোন করেছিলাম। হাসপাতাল থেকেই বলা হল, আসুন, সব খোলা আছে। এসে দেখি এই অবস্থা।