বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এদিন বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিট নাগাদ ধর্মতলার লেনিনের মূর্তির সামনে থেকে রোড-শো’র সূচনা করেন অমিত শাহ। প্রথমে একটি হুড খোলা জিপে শুরু করলেও গাড়ি লেনিন সরণী দিয়ে কিছুটা এগতেই বড় একটি ম্যাটাডোর ভ্যানে চলে যান অমিত। সেখানে তার সঙ্গে উঠে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা প্রমুখ। মিছিলের পুরোভাগে ছিল কয়েকশো ঢাকি। যাতে অংশ নেন অসংখ্য মহিলা বাদকও। বাঙালির আবেগকে উস্কে দিতে রাখা হয়েছিল রবীন্দ্র নৃত্যের ট্রুপও। পরবর্তীতে উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে আসা নাচের দল কৃষ্ণ লীলা ও পাঞ্জাব থেকে আসা ভাংড়া নাচের দল নিজেদের সংস্কৃতি প্রদর্শন করে। প্রতিটি দলের জন্য বরাদ্দ ছিল দৈত্যাকার ট্রলার। যার উপর ‘লাইভ পারফর্ম’ করছিলেন ভিনরাজ্যের শিল্পীরা। এখানেই শেষ নয়, তারপর একাধিক ট্রলার এবং ম্যাটাডোরে ছিল একাধিক ডিজে। যেখানে কখনও বাজছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ, কোনও গাড়িতে শ্রীরামচন্দ্রের বন্দনা, কোথাও আবার স্রেফ মহিলারা গলা ছেড়ে স্লোগান তুলছিলেন, এক হি নারা, এক হি নাম, জয় শ্রীরাম জয় শ্রীরাম।
অমিত শাহর গোটা যাত্রাপথে কয়েকশো কেজি গাঁদা ফুলের পাপড়ি জড়ো করেছিলেন রাজ্য নেতারা। বিশেষ এক মেশিনের মাধ্যমে পাপড়িগুলি পাইপের মাধ্যমে রীতিমতো আকাশ থেকে ছোঁড়া হচ্ছিল—যেন অমিত শাহের জন্য পুষ্পবৃষ্টি। এদিনের পড়ন্ত বিকেলে আবহাওয়া কিছুটা নরম ছিল। তার উপর বেলা গড়াতেই ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করে। যা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়তি স্বস্তি বয়ে আনে। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার, বউবাজারের সামনে গোটা রাজপথ জুড়ে অমিত শাহর ম্যাটাডোরের সামনে আতসবাজির প্রদর্শন হয়। অমিত শাহের গাড়ি হিন্দ সিনেমা পেরিয়ে নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটে পৌঁছতেই রাস্তায় দু’পাশের জনতা দু’হাত তুলে অমিত শাহকে স্বাগত জানান। পাল্টা সৌজন্য দেখিয়ে বিজেপির সর্বাধিনায়ক তাঁদের উদ্দেশে ফুলের পাপড়ি ছুঁড়ে প্রীতি নমস্কার জানান। তবে কলেজ স্ট্রিট, বউবাজার সহ কয়েকটি মোড়ে নিত্যযাত্রীরা প্রকাশ্যেই দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তা আটকে অমিত শাহের এই র্যা লির বিরোধিতা করেন। যা নিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সামান্য উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে দু’জায়গায় অমিত শাহর উদ্দেশে কালো পতাকা, বোতল ছোঁড়ার ঘটনা নিয়ে মিছিলের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ অমিত শাহ বিবেকানন্দ মোড়ে হাজির হতেই পুলিস তাঁকে স্বামীজির বাড়ি যেতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ কলকাতা উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দীনেশ পান্ডের। তাঁর দাবি, কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি ম্যাটাডোর থেকে নেমে গাড়িতে উঠে এলাকা ছাড়েন।