উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জুলকার নঈম আলির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই শাসকদলের এক বিধায়ক এবং তাঁর ছেলের দ্বন্দ্ব। বছর সাত-আটেক আগে জুলকার নঈম আলিকে মারধর করে এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপরই এলাকার সিন্ডিকেট, নির্মাণ ব্যবসার রাশ ওই বাবা-ছেলের হাতে চলে আসে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাস দশেক আগে তৃণমূলের শীর্ষনেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় জুলকার ফের এলাকায় ঢোকেন। পুরনো ব্যবসা শুরু না করলেও তাঁর ঘনিষ্ঠরা আবারও সঙ্ঘবদ্ধ হতে শুরু করে। যা ভালোভাবে নেয়নি ওই বাবা-ছেলের ঘনিষ্ঠ লোকজন। যা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই ছোটখাট ঝামেলা চলছিল। এদিন জুলকার নঈম যখন বাড়িতে বসে নিজের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন, তখনই গোটা ১৫-২০টি বাইকে ৩০ থেকে ৪০ জন ওই বাড়িতে হামলা করে। বাড়ির বাইরে থাকা পর পর বাইকে ভাঙচুর করা হয়। সেখানে দু’টি বড় গাড়িও ছিল। সেটিকে ভাঙতেই জুলকারের লোকজন বেরিয়ে এসে প্রতিরোধ শুরু করতেই তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায়। ঘরের ভিতরে থাকা মুখ্যমন্ত্রী ছবি, তৃণমূলে ফ্লেক্স-হোর্ডিং, কলকাতা দক্ষিণের প্রার্থীর প্রচারের সামগ্রী ভেঙে ফেলা হয়। লাঠি-রড নিয়ে দু’পক্ষই মারপিটে জড়ায়। দু’-তিনজনের মাথা ফেটে যায়। তারা জুলকারের অনুগামী বলে জানা গিয়েছে। জুলকারের অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলা করা হয়েছে। ওই বিধায়ক বাবা এবং তাঁর ছেলের নেতৃত্বে থাকা লোকজনই হামলা করেছে। আমার দু’জন কর্মীর মাথা ফেটে গিয়েছে। এদিন আনন্দপুর থানার পুলিস গিয়ে লাঠি নিয়ে দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গকে করে। যদিও জুলকারের পাল্টা গোষ্ঠীর কথায়, এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে ওই নেতার লোকজন। বিজেপি পিছন থেকে সাহায্য করছে। স্থানীয় মানুষই ওই ‘বিশ্বাসঘাতক’-দের মারধর করেছে।