বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে স্বাতীদেবী তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করেন, ‘আমি ফেসবুকের বন্ধুদের কাছে বিদায় চাইছি। যে কোনও মুহূর্তে খুন হয়ে যাব। এ বছর একাদশ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় ৪৬টি ছাত্রী ফেল করেছে। আজ দুপুরে অভিভাবকরা আমার ফ্ল্যাট আক্রমণের হুমকি দিয়েছেন। পুলিসে ফোন করার পর কেউ আসেননি। কিন্তু পথেঘাটে তো বেরোতে হবে। হয়তো অ্যাকসিডেন্ট বলে চালানো হবে। রেজাল্ট সংসদে জমা পড়ে গেছে। কী করে পাশ করাব তার আইনসঙ্গত কোনও উপায় আমার জানা নেই। আমার আত্মহত্যার কোন বাসনা নেই। এঁরা ছাড়া আমার কোন শত্রুও নেই। অতএব আমার আকস্মিক মৃত্যু ঘটলে এদের জন্যই ঘটবে।’
এই পোস্টটি মঙ্গলবার ঝড়ের বেগে শেয়ার হতে থাকে। তারপরেই বিষয়টি প্রশাসন ও পুলিসের নজরে আসে। যদিও অভিভাবকদের একাংশের দাবি, ফেল করা ছাত্রীদের পাশ করানোর জন্য প্রধান শিক্ষিকার কাছে কিছুজন আবেদন করলেও তাঁদের কেউ খুন করার হুমকি দেননি। প্রধান শিক্ষিকা এটা বাড়াবাড়ি করে লিখেছেন। এবিষয়ে স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা তৃণমূল কাউন্সিলার হর্ষপ্রসাদ বন্দোপাধ্যায়কে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
যদিও রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান বিজয়সাগর মিশ্র বলেন, কিছু ছাত্রী ও অভিভাবক আমার কাছেও তাঁদের সমস্যার বিষয়ে জানাতে এদিন এসেছিলেন। বিজয়বাবু বলেন, আমি তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়মকানুন মেনেই চলার পরামর্শ দিয়েছি। কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। বিজয়বাবু বলেন, প্রধান শিক্ষিকার যদি কোনও সমস্যা হয়ে থাকে তিনি বিষয়টি আমাকে জানালে নিশ্চই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।