উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
ডানকুনির চাকুন্দির বাসিন্দা তথা দিনমজুর সেলিম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, বছর দুয়েক আগে লিলুয়ার বাসিন্দা পিঙ্কির সঙ্গে তার আলাপ হয়। সেলিম ও পিঙ্কি দু’জনেই বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তারা পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তারপর তাদের প্রেম ক্রমশ গভীর হতে থাকে। পুলিসি জেরায় সেলিম জানিয়েছে, দেড় বছর আগে পিঙ্কিকে সে বিয়েও করে। কিন্তু, তাকে বিয়ে করার পরেও পিঙ্কি একাধিক ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার দিন পিঙ্কি তার ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য লিলুয়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে ডানকুনিতে আসে। এরপরে দুপুর দেড়টা নাগাদ ডানকুনির দিল্লি রোডের কাছে হাউসিং সংলগ্ন একটি লজে সেলিম ও পিঙ্কি স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওঠে। তাদের সঙ্গে পিঙ্কির বাচ্চাটিও ছিল।
পুলিস জানিয়েছে, লজের ঘরেই পিঙ্কির মোবাইলে বেশ কয়েকজন ছেলের ফোন আসে। এরপরেই পিঙ্কি ও সেলিমের মধ্যে একাধিক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নিয়ে বচসা শুরু হয়। একাধিক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নিয়ে দু’জনের মধ্যে তুমুল তর্কাতর্কি ও মারামারি হয়। ওই সময় সেলিম লজের ঘরে গলা টিপে খুন করে পিঙ্কিকে। এমনটাই পুলিসের জেরায় স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। এরপরই বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ লজ থেকে সে পালিয়ে যায়। পিঙ্কির সন্তান তখন ঘরের ভিতরে খাটের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিল। সেলিম পুলিসকে জানিয়েছে, পিঙ্কি আমার সঙ্গে বেইমানি করেছে বলেই আমার মাথায় খুন চেপে গিয়েছিল। আমি মেনে নিতে পারিনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ডানকুনি হাউসিং সংলগ্ন একটি লজের তিন তলার ঘর থেকে শিশুর কান্না শুনতে পান কর্মীরা। ঘরের সামনে গিয়ে দেখেন দরজা খোলা। ভিতরে ঢুকে কর্মীরা দেখেন ঘরের কোণে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন এক গৃহবধূ। পাশে বিছানায় শুয়ে কাঁদছে তার দেড় মাসের শিশু। এরপরেই তাঁরা বিষয়টি পুলিসকে জানালে ডানকুনি থানার পুলিস দেহ ও শিশুটিকে উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে মৃত তরুণীর বাড়ি লিলুয়ায়। এরপরে তার স্বামীকে ডেকে তাদের হাতে শিশু সন্তানকে তুলে দেয়। সেই সঙ্গে খুনের মামলার তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি লজে মহিলার সঙ্গে থাকা যুবকের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে।