উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
অভিযোগ, পুরসভার অনুমতি ছাড়াই বিল্ডিংয়ের একাংশ নির্মাণ চলছে। তারকেশ্বর মঠের অন্তর্গত কুমকুমি পুকুরের কিছু অংশ দখল করে। অবিলম্বে পুরসভার কাছে এই নির্মাণকাজ বন্ধ করার আবেদন জানান ওই ব্যক্তি। অভিযোগ পেয়ে তারকেশ্বরের পুরপ্রধান স্বপন সামন্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠান। ১১ মে বেআইনি নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেয় তারকেশ্বর পুরসভা। লিখিত নির্দেশে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গ পুর আইন অনুযায়ী ১৯৯৩-এর ২০৪ ধারা অনুসারে বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। অনুমোদিত নকশা বহির্ভূত অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। সোমবার তারকেশ্বর পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার সহ এক কাউন্সিলর নির্মাণকাজ পরিদর্শনে গেলে দেখেন পুরসভার নোটিস অমান্য করে কাজ চলছে। কাজ চলার সময় ব্যবহৃত কোদাল, বেলচা সহ অন্যান্য সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে পুরসভা। ফের বেআইনি নির্মাণকাজ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয় পুরসভার পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ে নির্মাণকারী স্বপন ক্ষেত্রপাল বলেন, বিল্ডিং নির্মাণের বৈধ অনুমতি পুরসভাই আমায় দিয়েছে। তবে অনুমোদিত বিল্ডিং-এর পাশেই অবস্থিত যে জায়গায় নির্মাণের কথা বলা হচ্ছে সেটি তারকেশ্বর মঠের অন্তর্গত। ওই জায়গায় তারকেশ্বর মঠের মহারাজের অনুমতি নিয়ে তারকেশ্বর পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজনের মৌখিক অনুমোদনে পুরসভার লিখিত অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ চলছে। পুরসভার আইন অনুযায়ী আমার কী করণীয় সে বিষয়ে আমি আইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিচ্ছি। তারকেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সামন্ত বলেন, পুরসভার অনুমোদিত জায়গা ছাড়াও অতিরিক্ত নির্মাণ হয়েছে। ভোটের সময় দপ্তরের কর্মীরা ব্যস্ত থাকার সুযোগ নিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে নির্মাণকার্য চলেছে। এ বিষয়ে গত ১১ মে পুরসভার পক্ষ থেকে কাজ বন্ধ ও বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশকে অমান্য করে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য পুরসভার কর্মীরা মিস্ত্রিদের ব্যবহৃত কিছু যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করেছে। অনুমোদন ছাড়া যে অংশে নির্মাণ হচ্ছে, সেই অংশ ভেঙে না নিলে পুরসভার পক্ষ থেকে তা ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।