উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
২০০২ সালের ২৬ আগস্ট রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন সরকারি কর্মী প্রবীর সেন (৩০)। তাঁর বাড়ির লোকজন খোঁজখবর করে না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কয়েকদিন বাদে গড়িয়া ফাঁড়িতে প্রবীরবাবুর ছবি নিয়ে তাঁর মা ও ভাই যান খোঁজ নিতে। সেখানে জানতে পারেন, এমন দেখতে একজনকে গড়িয়ার ৫ নং বাস স্ট্যান্ড থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শেষ অবধি তাঁরা বাঙ্গুর হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ প্রবীরবাবুর। তবে ততক্ষণে তিনি মারা গিয়েছেন। বেডেই শোয়ানো রয়েছে মৃতদেহ। ময়না তদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। প্রবীরবাবুর ভাইয়ের অভিযোগ, পুলিস তাঁদের জানিয়েছিল যে, তাঁর দাদাকে হাত বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল।
যাদবপুর থানায় অভিযোগ জানানোর পর পুলিস একটি অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করে। কিন্তু অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে গড়িমসি করায় মৃতের মা আদালতের দ্বারস্থ হন। পরবর্তী সময় পুলিস এই মামলায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। যদিও তারা পরবর্তীকালে জামিন পেয়ে যায়। তদন্ত শেষে পুলিস আলিপুর আদালতে চার্জশিট পেশ করে। মামলাটি বিচারের জন্য যায় আলিপুরের দায়রা আদালতে। সেখানেই চার্জ গঠন করে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। কিন্তু সেখানে সরকারপক্ষের হয়ে মাত্র তিনজন সাক্ষ্য দেওয়ার পর নানা আইনি গেরোয় থমকে যায় শুনানি।
প্রবীরবাবুর ভাই সোমনাথ সেন বলেন, বর্তমানে এই মামলায় কোনও সরকারি আইনজীবী নেই। শুধু তাই নয়, মামলার শুনানিও বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। কয়েক মাস অন্তর শুধু তারিখ নেওয়া ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না। দাদার অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলার বিচার থমকে থাকায় আমাদের পরিবার একটা ভয়ঙ্কর মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছে।
আদালত সূত্রের খবর, বর্তমানে মামলাটি রয়েছে আলিপুর জজ কোর্টের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন বিচারক ও তিনজন সরকারি আইনজীবী বদল হয়েছেন। কেন নতুন কোনও সরকারি আইনজীবী নিয়োগ করা হচ্ছে না? এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সহকারী মুখ্য সরকারি আইনজীবী শিবনাথ অধিকারী বলেন, আমরা এ নিয়ে বিশদে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।