বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
এদিকে, মেয়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন দাস দম্পতি। এদিন সকালে মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন দিয়ার বাবা রঞ্জিতবাবু। তিনি বলেন, ছ’টি হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে আমার মেয়ে শেষ হয়ে গেল। একের পর এক বড় হাসপাতালে ঘুরেছি। কিন্তু কেউ ভর্তি নেয়নি। যদি প্রথমেই ভর্তি নিত, তাহলে ও বেঁচে ফিরত। দিয়ার মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ডাঃ প্রদীপ মিত্র এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। তিনি ইতিমধ্যেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি, রেফার নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, সেব্যাপারেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। রাত পর্যন্ত দিয়ার পরিবারের তরফে টালা থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিস।
দিয়ার পরিবারের তরফে জানানো হয়, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ অগ্নিদগ্ধ দিয়াকে প্রথমে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে বারাসত হাসপাতালে রেফার করা হয়। রাতটুকু বারাসত হাসপাতালে কাটানোর পর পরের দিন ভোরে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে দিয়াকে দু’ঘণ্টা ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ। পরে এসএসকেএমে রেফার করা হয়। ড্রেসিং করে দিয়ে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দগ্ধ দিয়াকে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। রঞ্জিতবাবু বলেন, সেদিন শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছিলেন, ওই ধরনের অগ্নিদগ্ধ শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা তাঁদের ওখানে নেই। শম্ভুনাথ পণ্ডিত থেকে এরপর শিশুটিকে নারকেলডাঙা মেন রোডে বি সি রায় শিশু হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। সেখান থেকেও দিয়াকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে একটি দগ্ধ শিশুকে নিয়ে কলকাতার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ঘুরতে হয়েছে পরিবারকে। কিন্তু কেউ ভর্তি নেয়নি। সেখান থেকে রঞ্জিতবাবু তাঁর মেয়েকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু সেখানেও নানা কারণ দেখিয়ে তিন ঘণ্টা ফেলে রাখা হয়। রঞ্জিতবাবুরা বিক্ষোভ না দেখালে সেই হাসপাতাল থেকেও হয়তো রেফার করে দেওয়া হতো পাঁচ বছরের ওই শিশুকে। চিকিৎসকরা জানান, দিয়ার শরীরে সিন্থেটিক পোশাক থাকায় প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ফলে তাকে বাঁচানো রীতিমতো দুঃসাধ্য ছিল। তবুও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাকে বাঁচানো যায়নি। এদিন শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের পর তার পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।