বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এদিন মধ্যমগ্রামে জেলা পার্টি অফিসে একটি বৈঠক করে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। ওই বৈঠকের পর অর্জুন সিংহের পদত্যাগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ বলেন, ২০১৪ সালে বারাকপুর লোকসভার সাতটি বিধানসভার মধ্যে দীনেশ ত্রিবেদি একটি বিধানসভায় হেরেছিলেন। সেটি হল ভাটপাড়া। আজ সেই চক্রান্ত ফাঁস হল।
অন্যদিকে, এদিন অর্জুন সিং তৃণমূল ছেড়ে চলে যাওয়া প্রসঙ্গে শুভ্রাংশু বলেন, তিনি সিনিয়র লিডার। তাঁর প্রতি আমার শুভকামনা রইল। তবে, দলে তাঁকে এতদিন যারা গুরু বলে মানত, তাঁর অনুগামী হিসাবে পরিচিত ছিল, তিনি অন্য দলে চলে যাওয়ায় তাঁর এখন নিন্দা করছেন। আমার বাবা তৃণমূল ছেড়ে চলে যাওয়ার পর মা, স্ত্রী, আমাকে নিয়ে দলের অনেকেই আমাদের গালিগালাজ করেছিলেন। অর্জুন সিং দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাঁর বাড়িতে তৃণমূল কাউন্সিলার রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী রয়েছেন। তাঁরা এখনও তৃণমূল কাউন্সিলার রয়েছেন। যতদিন তৃণমূলে রয়েছেন, দলীয় নেতাদের বলব, তাঁদের প্রতি সন্মান জানানো উচিত।
বীজপুর বিধানসভার মধ্যে হালিশহর ও কাঁচরাপাড়া পুরসভা রয়েছে। দুটি পুরসভায় অর্জুন অনুগামী একাধিক তৃণমূল নেতা রয়েছে। এমনিতেই হালিশহর পুরসভায় তৃণমূলের কোন্দলের জেরে কাউন্সিলারদের দুটি গোষ্ঠী আড়াআড়িভাবে বিভক্ত। ফলে, এই বিধানসভার হালিশহর পুরসভায় ১০ জন কাউন্সিলারকে নিয়ে কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই বিধানসভায় বিধায়ক সহ দুই পুরসভার জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, অর্জুন সিং বারাকপুর লোকসভায় বিজেপির প্রার্থী হলে বীজপুর থেকে দল সব থেকে বেশি লিড পাবে। অর্জুন সিংকে ফোনে মুকুল রায় একথা বলেছেন বলে এদিন একটি সংবাদ মাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। ফলে, মুকুল রায়ের এই দাবির পিছনে শুভ্রাংশুর ভূমিকা নিয়ে দলে চর্চা শুরু হয়েছে। দলে নিজের অবস্থান জানাতেই সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, দল এই বিধানসভায় তাঁকে সম্পূর্ণ দায়িত্ব দিলে সব থেকে বেশি ভোটে লিড দেবেন।