বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
পুলিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এবার হাওড়ার সমস্ত ট্রাফিক গার্ডকে এই ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ স্লোগানকে সামনে রেখেই এই অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, পথ দুর্ঘটনা কমাতে এর মধ্যেই হাওড়া ট্রাফিক পুলিস বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ইতিমধ্যেই শহরে ফোরশোর রোডের ধারে একটি ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ পার্ক তৈরি করেছে পুলিস। সেখানে অডিও ভিজ্যুয়ালের মাধ্যমে ট্রাফিক সচেতনতা পাঠ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে গাড়িগুলির গায়ে এই স্লোগানের স্টিকার সেঁটে দেওয়া হচ্ছে।
হাওড়া সিটি পুলিসের এক কর্তা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই গাড়ি চালানোর সময় ফোন করার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছিল। সেইমতো আমরা ১৫ জনকে ধরে তাঁদের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করেছিলাম। তাঁদের শুনানিতে ডাকা হয়েছিল। তাঁদের সেখানে অডিও ভিজ্যুয়ালের মাধ্যমে কানে ফোন নিয়ে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালালে কী ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে, তার পাঠ দেওয়া হয়েছে। তারপর তাঁদের লাইসেন্স ৩ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। আগামী দিনে এই অভিযান আরও কঠোর হবে। এখন যাঁদের লাইসেন্স সাসপেন্ড হয়েছে, তাঁরা আগামীদিনে একই অপরাধে ধরা পড়ে, তখন তাঁদের আরও কঠোর শাস্তির সামনে পড়তে হবে।
ট্রাফিক পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাওড়া সিটি পুলিস এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গাড়িগুলির গতি মাপার জন্য বসানো হয়েছে স্পিড গান। এছাড়াও কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ও ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে বসানো হয়েছে একাধিক ক্যামেরা। এখন কোনও গাড়ি হঠাৎ করে লেন পরিবর্তন করে আগে যাওয়ার চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে তার সামনে থাকা ট্রাফিক পুলিসের অফিসাররা সেই গাড়ি ধরে জরিমানা আদায় করছে। এর ফলে দুর্ঘটনা কিছুটা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে গাড়ি চালানোর সময় কানে ফোন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বেশ কিছু দুর্ঘটনা হচ্ছিল। সেই কারণে এই ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিসের অফিসাররা গুরুত্ব দেওয়া শুরু করেন। তারপরই গত কয়েকদিন শহরের কয়েকটি পয়েন্টে এই নিয়ে অভিযান শুরু করা হয়। তাতে ১৫ জনকে পুলিস ধরে। তাঁদেরই লাইসেন্স সাসপেন্ড করা হয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, আগামীদিনে শহরের সর্বত্র এই অভিযান চালানো হবে। এছাড়াও ট্রাফিক পুলিসের অফিসাররা বিভিন্ন পয়েন্টে আচমকা হানা দেবেন। সেখানে যদি কোনও বাইক আরোহী বা অন্য গাড়ির চালক ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালান, সঙ্গে সঙ্গে তাঁর লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করে শুনানিতে ডাকা হবে। প্রথমবার এই ঘটনায় ধরা পড়লে তিনমাস লাইসেন্স সাসপেন্ড করা হলেও পরবর্তীকালে একই অপরাধে ধরা পড়লে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।