বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
চার ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে হক ছিল মেজ ছেলে। বহু খোঁজাখুঁজির পরেও সন্ধান না পেয়ে ছেলেকে পাওয়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল তার পরিবার। বছর চারেক আগে বালিগোড়ি এলাকায় একজনকে ইতস্তত ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ প্রামাণিক তাকে ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন। মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় পরিবারের ঠিকানা বলতে পারেনি সে। অবশেষে সুভাষ প্রামাণিকের হোটেলেই থেকে কাজ করত সে। শেখ মনিরুল নামে এক ব্যক্তি মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার বাসিন্দা রাজমিস্ত্রির কাজে বর্তমানে পুরশুড়া থানার বালিপুর এলাকায় থাকেন।
রাজমিস্ত্রির কাজ করতে এসে তারকেশ্বর বালিগোড়িতে হককে দেখে চিনতে পারেন। তিনি মুর্শিদাবাদে তার পরিবারকে খবর দিলে বুধবার তাকে বালিগড়ি (১) পঞ্চায়েতে নিতে আসেন বাড়ির লোকরা। বালিগোড়ি (১) পঞ্চায়েতের প্রধান হারাধন মজুমদার বলেন, নিখোঁজ ছেলেটির পরিবার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ছেলেটি তার দাদাকে দেখে চিনতে পারে। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। হকসাহেবের দাদা মিজানুর আলম বলেন, আমার ভাইকে খুঁজে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আজকে ভাইকে ফিরে পেয়ে খুব আনন্দ লাগছে। যেখানে ভাই থাকত, খুব যত্ন সহকারে রেখে ছিল। আমরা ভাইকে ফিরে পেয়ে খুবই খুশি। বুধবার বালিগোড়ি (১) পঞ্চায়েত থেকে ঘরের ছেলেকে নিয়ে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেয় তার পরিবার।