বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
এদিন অতীনবাবু সাউথ সিটি আবাসন সোসাইটির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে সোসাইটির কর্তারা অতীনবাবুর কাছে বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করেন। তাঁরা আবেদন করেন, মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ সংক্রান্ত একটি করে বৈঠক প্রতি রবিবার করতে। সেখানে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারাও হাজির থাকবেন। অতীনবাবু তাঁদের বলেন, গতবার ড্রোন উড়িয়ে সাউথ সিটি আবাসনের ছাদে মশার একাধিক আতুঁড়ঘরের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু পুরকর্মীদের সেখানে গিয়ে যেমন সাফাই করতে দেওয়া হয়নি, তেমনই আবাসন কর্তৃপক্ষও কাজ করেনি। এই অবস্থা যেন না চলে। তাতে শুধু সাউথ সিটি পাঁচটি টাওয়ারের অসংখ্য বাসিন্দাই বিপদে পড়বেন না, আশপাশের অনেক মানুষই সমস্যায় পড়বেন। যদিও আবাসন কর্তৃপক্ষও সব সাফসুতরো রাখার আশ্বাস দিয়েছে। অতীনবাবু বলেন, সাউথ সিটি আবাসনের পার্কিং এরিয়ার একটি অংশ ঠিকমতো সাফাই না হওয়ায় মশার লার্ভা জন্মানোর প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। সেগুলিকে সাফ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, তিনি আবাসন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যেই তিনি সোসাইটির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের কথায়, এদিন পরিদর্শনে তাঁরা একাধিক এলাকা থেকে অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ পেয়েছেন। তবে সবথেকে খারাপ অবস্থা দেখা গিয়েছে ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের পোদ্দারনগরে উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের ন’বিঘা জমিতে তৈরি একটি সরকারি আবাসনে। অত্যন্ত বেহাল অবস্থা হয়ে রয়েছে পুরো আবাসনটি। চারপাশ ভেঙে ভেঙে পড়ছে। আবর্জনায় ভরপুর। জল জমে রয়েছে। মশার আতুঁড়ঘর তৈরি হয়েছে যত্রতত্র। এমনকী, ১৯৫০ সালে ওই আবাসনের নিকাশির জল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নিষ্কাশিত হওয়ার একটি প্ল্যান্ট তৈরি হয়েছিল। সেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেখানেও জল জমে মশার আতুঁড়ঘর তৈরি হয়েছে। অতীনবাবু জানিয়েছেন, আমি ৪৯৬-এ ধারায় নোটিস দেব। তারপর যা যা করণীয়, তা করা হবে।