বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি বেসরকারি সংস্থা পাঁচদিন পাঁচটি বরোর (৩, ৯, ১০, ১২, ১৪) ১২টি ওয়ার্ডে টানা ড্রোন উড়িয়েছে। ড্রোন থেকে ২২৪৪টি ছবি তোলা হয়েছে। এই ছবিগুলির মধ্য ৪৭৮টি ছবি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সেই বিশ্লেষণের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭৬০টি এমন জায়গা মিলেছে, যেগুলিতে মশার আতুঁড়ঘর তৈরি হয়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ডাঃ তপন মুখোপাধ্যায় বলেন, ড্রোন মূলত প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি দু’টি অংশের ছবি তুলেছে। প্রাইমারির তালিকায় রয়েছে খাল, পুকুর, ওভারহেড জলাধার, বাড়ির নর্দমা সহ একাধিক অংশ। আবার সেকেন্ডারিতে রয়েছে পরিত্যক্ত ফ্যাক্টরি, বাড়ি সহ নানান জায়গা। ওই বেসরকারি সংস্থাটি সেই ছবিগুলি তুলে পৃথক পৃথকভাবে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। প্রাইমারি রিপোর্টে হচ্ছে, যেগুলি নিয়মিত মশার আতুঁড়ঘর হিসেবে দেখা যায়। আর সেকেন্ডারি রিপোর্ট হচ্ছে, যেগুলি ভাবনাতে থাকে না, অথচ মশার আতুঁড়ঘর হিসেবে তৈরি হয়ে গিয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের কথায়, গত বছর ড্রোন চালানো হয়েছিল যাদবপুরের বিস্তীর্ণ অংশে। সেবারও মশার আতুঁড়ঘরের ছবি ড্রোনের মাধ্যমে উঠে এসেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে তা তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বাতিল করে দেন। তারপর মেয়র হিসেবে ফিরহাদ হাকিম দায়িত্ব নেওয়ার পর অতীনবাবু এই ড্রোনের পরিকল্পনা ফের তোলেন। তখনই কার্যকর হয় পুরো বিষয়টি। যা বর্তমান মেয়র অনুমোদনও করেন। এখন দেখা যাচ্ছে, কতটা সুবিধা হয়েছে এই ড্রোন চালিয়ে। পুরসভার কর্মী-আধিকারিকরা এই জায়গাগুলিতে ঢুকতে পারতেন না। অনেকবার হয়েছে, যখন কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেই সব এলাকার ছবি বা তথ্য কিছুই মেলে না। ড্রোন ওড়ানোর পরে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, কতটা ভয়াবহ হয়ে রয়েছে পরিস্থিতি। এগুলি নিয়ে এখনই পদক্ষেপ না করলে সাধারণ মানুষ মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হবে। তপনবাবুর কথায়, এরপর আমাদের এই ড্রোন নিয়ে নানান পরিকল্পনা রয়েছে। সেগুলি নিয়ে মেয়র পরিষদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।