বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁর বৌভাতের আসরে এই কাণ্ড ঘটে, তাঁর নাম বিশ্বজিৎ দাস। তিনি পেশায় আইনজীবী। পাত্রীপক্ষের বাড়ি ব্যান্ডেল। গত বৃহস্পতিবার বিয়ে হয়। রবিবার প্রতাপগড়ে বৌভাতের অনুষ্ঠান ছিল। গোটা অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন দু’জন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী। বৌভাতের অনুষ্ঠানপর্ব শেষ হওয়ার পর আচমকা গুলির আওয়াজে বিয়ের বাড়ির লোকজন সহ আশপাশের প্রতিবেশীরা চমকে ওঠেন। বৌভাতের অনুষ্ঠানের মধ্যেই নিরাপত্তারক্ষীরা শূন্যে পরপর দু’রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন। ভিন রাজ্যে অবাঙালিদের বিয়ের অনুষ্ঠানে এই ধরনের রীতি-রেওয়াজ রয়েছে। কিন্তু, আমবাঙালি পরিবারে এই ধরনের রেওয়াজ দেখে অনেকেই হতবাক হয়ে যান।
যদিও শূন্যে গুলি চালানোর দৃশ্য বৌভাতে যোগ দিতে আসা অনেকেই মোবাইলে ফ্রেমবন্দি করেছিলেন। বাঙালি কালচারে এই ধরনের রেওয়াজের ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সোমবারের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। আর তাতেই বিতর্ক তৈরি হয়। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তদন্তে নেমে প্রথমে পুলিস পাত্রের জামাইবাবু নান্টু দে’কে গ্রেপ্তার করে। পরে, তার সূত্র ধরেই অশোক সিং নামে নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় আরও একজন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। তিনি পালিয়ে গিয়েছেন। পুলিস জানিয়েছে, তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পাত্র বিশ্বজিৎ দাস মঙ্গলবার ফোনে বলেন, বিয়ে বাড়ি ভাড়া না পাওয়ায় আমার এক পরিচিতের ফাঁকা জমিতে বৌভাতের আয়োজন করেছিলাম। অনুষ্ঠানে অনেকেই সোনার গয়না পরে আসবেন বলে নিরাপত্তার প্রয়োজন ছিল। বিষয়টি জানার পর আমার এক পরিচিত নিজে উদ্যোগী হয়ে দুজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী পাঠান। তিনিও বিয়েতে এসেছিলেন। এরজন্য কোনও পয়সাও তিনি নেননি। বৌভাত অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর নিরাপত্তারক্ষীরা পোশাক খুলে অন্য পোশাক পরেছিলেন। আচমকা আমার ওই পরিচিত নিরাপত্তারক্ষীকে বন্দুক চালানোর নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশ মেনেই শূন্যে গুলি চালানো হয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা সঙ্গে সঙ্গে আপত্তি জানাই। ভিডিওতে সেই ফুটেজ রয়েছে। ফলে, এই ঘটনার সঙ্গে আমরা কোনওভাবেই জড়িত নই। যিনি নিরাপত্তারক্ষী দিয়েছিলেন, তিনিই এসব করেছেন। এর সঙ্গে আমরা কোনওভাবে দায়ী নই।