বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
মহেশতলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কিন্তু এদিন ধৃতদের আদালতে তোলা তাদের আইনজীবীদের সঙ্গে সরকারি আইনজীবীদের সাময়িক বাদানুবাদ হয়। আদালতে প্রশ্ন ওঠে, তরুণ দাসকে যে বিস্ফোরক সরবরাহকারী বলে দাবি করা হয়েছে, তার প্রমাণ কোথায়? যদিও দু’পক্ষের বক্তব্য শুনেই বিচারক ধৃতদের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে পাঠান।
এদিকে, রবিবার দুপুরে ঘটনাটি মহেশতলা থানার পুঁটখালি নস্করপাড়ায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটার পর সোমবারও উত্তেজনা বজায় ছিল। এদিন সকালে বিস্ফোরণস্থলে যান পুলিস জেলার আধিকারিকরা। আসেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও। তাঁরা বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন। রবিবার বিশাল জলাশয়ের মাঝখানে উলুবন ঘেরা জঙ্গলের ভিতর ড্রাম ভর্তি বিস্ফোরক ফেটে এই বিপত্তি ঘটে। প্রত্যেকটি ড্রামে প্রায় ৪০ কেজি বিস্ফোরক মজুত থাকত বলে পুলিস প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে। এগুলি বিভিন্ন জায়গা থেকে মজুত করা হত। যার জেরে বিস্ফোরণের পর একের পর এক প্রকাণ্ড আওয়াজ করে ড্রামগুলি ফাটতে থাকে। তাতেই তিন কারিগর জখম হয়ে ছিটকে পড়েন।
তবে পুলিসের একাংশের অনুমান, এখানে আতসবাজি নয়, বোমা বানানোর কারখানা ছিল। একেবারে এলাকার অন্দরে এই কারখানা তৈরি করা হয়েছিল। যা লাইসেন্স ছাড়াই তৈরি হয়। বেআইনিভাবে দিনের পর দিন এই কারখানা চলেছে। কিন্তু কোনওরকম হুঁশ ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, সামনে লোকসভা নির্বাচন। সেই উপলক্ষে ওই উলুবন ঘেরা জঙ্গলের মধ্যে বিস্ফোরক মজুত করা হচ্ছিল। যা কোনওভাবে ফেটে যায়। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই কারখানা চললেও কেন পুলিসের নজর এড়িয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিস, দমকল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুঁটখালির নস্করপাড়ায় একটি বড় জলাশয় রয়েছে। তার পুরোটাই দোতলা সমান উলুবনের জঙ্গলে ঘেরা। এছাড়াও তা ঘিরে রয়েছে বাঁশবাগান ও অন্য গাছাগাছালি। বাইরে থেকে তা কোনও ভাবে নজরে আসে না। জঙ্গল ঘেরা জলাশয়ের ঠিক মাঝখানে জলের মধ্যে বাঁশ দিয়ে পাটাতন করে তার উপর বিস্ফোরক মজুতের জন্য টিন ও প্লাস্টিকের ছাউনি দিয়ে ঘর তৈরি করেছিলেন রমেন সাউ। আর তার মধ্যেই বেআইনিভাবে চলত এই কারখানা।