বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
শনিবার নিউ মার্কেট এলাকা থেকে ৮৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সহ ধরা পড়ে এক ব্যক্তি। এই টাকা কলকাতারই কারও কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনের কাজে ব্যবহারের জন্য তা আনা হয়েছিল বলে কিছু তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে পুলিসের। তা যথেষ্ট না হওয়াতেই একেবারে শিকড়ে যেতে চাইছেন তদন্তকারী অফিসাররা। সেই কারণেই প্রথমে দেখা হচ্ছে, এই টাকার আসল মালিক কে। তাকে পাওয়া গেলেই জানা যাবে, কীভাবে হাতবদল করে এই টাকা কলকাতায় আনা হয়েছিল। আর এখানকার কোন রাজনৈতিক নেতা বা দলের কাছে তা পৌঁছনোর কথা ছিল। এক্ষেত্রে কয়েকদিন আগে পোস্তায় উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজতে চাইছেন গোয়েন্দারা। হাওলার মাধ্যমেই যেহেতু এই টাকা কারও কাছে যায়, তাই নিউ মার্কেট এলাকায় হাওলার কারবারিদেরও সন্দেহের তালিকায় রাখা হচ্ছে।
তবে যেহেতু এই ধরনের ঘটনার তদন্তে ইডি অত্যন্ত দক্ষ, তাই তাদেরকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা কিছুদিন আগে এই এলাকায় বেশ কিছু হাওলা কারবারির ডেরায় তল্লাশি চালান। সেখান থেকে বিপুল অঙ্কের নগদ বাজেয়াপ্ত হয়। উদ্ধার হয় একটি ডায়েরি। যাতে বেশ কয়েকজন নেতার নাম মিলেছিল। তাদের কাছে যে টাকাপসয়া যেত, তার প্রমাণও হাতে আসে তাঁদের। সেই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। তার মাঝেই আবার ওই এলাকা থেকে বড় অঙ্কের টাকা উদ্ধার হওয়ায় বিষয়টি ভাবাচ্ছে ইডি অফিসারদের। ডায়েরি থেকে জানা গিয়েছিল, থাইল্যান্ড, হংকং, দুবাই সহ বিভিন্ন দেশ ঘুরিয়ে টাকা আনা হচ্ছে কলকাতায়। শনিবারে উদ্ধার হওয়া টাকাও বিদেশ ঘুরিয়ে কলকাতায় আনা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। টাকার আসল মালিকের খোঁজ যাতে না মেলে, সেজন্যই হাওলা কারবারে জড়িত ব্যক্তিরা এই পদ্ধতির আশ্রয় নেয়। পাশাপাশি ডায়েরিতে যে সমস্ত নেতার নাম মিলেছিল, তাঁদের মধ্যে কারও কাছে এই টাকা যাওয়ার কথা ছিল কি না, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।