বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
পড়শিরা জানিয়েছেন, এন্টালিতে একটি রঙের দোকানে কাজ করতেন গোলকবাবু। শ্যামসুন্দরবাবু অন্যত্র কাজ করতেন। দু’জনেই অবিবাহিত। এন্টালির রঙের দোকানের মালিক সঞ্জয় রায়ের স্ত্রী সন্দীপা রায় বললেন, আমাদের দোকানে ১৯৯০-৯১ সাল থেকে ক্যাশিয়ারের কাজ করতেন গোলকবাবু। তিনি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে এন্টালিতে একই বাড়িতে থাকতেন। কিন্তু সেই বাড়িতে প্রোমোটিংয়ের কাজ হওয়ায় আমার স্বামী তাঁদের দু’জনকে বেলেঘাটায় বাড়ি ভাড়া করে দেন। গোলকবাবু খুবই বিশ্বস্ত ছিলেন। গত পুজোর পর তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে কাজ ছেড়ে দেন। তারপর থেকে তিনি বাড়িতেই থাকতেন। তাঁর দাদাও কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন। অবশ্য সন্দীপাদেবীর পরিবারের তরফে তাঁদের খোঁজখবর নেওয়া হতো।
পুলিস প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে, ওই দু’জনকে দেখাশুনার জন্য একজন আয়া ছিলেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রান্না সহ যাবতীয় কাজকর্ম করে তিনি চলে যেতেন। স্থানীয় একটি আয়া সেন্টার থেকেই তাঁকে নেওয়া হয়েছিল। শনিবার রাতে এক ভাইয়ের পিঠে ব্যথা হয়। তখন ওই আয়া বৈদ্যুতিক ‘হিট প্যাড’ দিয়ে তাঁকে গরম সেক দেন। কিন্তু তিনি বেরিয়ে আসার সময় সেই হিট প্যাডের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেন। তদন্তে পুলিসের ধারণা, এরপরেও ওই বৃদ্ধ হিট প্যাড চালু করে পিঠে সেক দিতে থাকেন। সেই অবস্থাতেই দুই ভাই ঘুমিয়ে পড়েন। একসময় ‘হিট প্যাড’ এতটাই গরম হয়ে যায়, সেটি জ্বলে ওঠে এবং বিছানার আশপাশের জিনিসপত্রে আগুন ধরে যায়। দুই বৃদ্ধ ঘুমে এতটাই আচ্ছন্ন ছিলেন যে তাঁরা টের পাননি। পুলিসের মতে, ধোঁয়ার তীব্রতায় তাঁরা অসুস্থ হয়ে ঘরের ভিতরেই পড়ে থাকেন। পড়শিরা জানান, তাঁরা যখন দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন, তখন দু’জনে ঘরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন। স্থানীয়রাই ঘরে জল দিয়ে আগুন নিভিয়ে দেন। তবে ওই দু’জনের গায়ে আগুন লাগেনি। স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে, দমবন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের।