পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
আহতের আত্মীয় ফিরদৌস মোল্লা জানিয়েছেন, আমার দাদা ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে যুক্ত। সেই কাজেই সে পদ্মপুকুরের দিকে যাচ্ছিল। মাথাতেই হেলমেট ছিল। উড়ালপুলের মাঝ বরাবর আসার পর চীনা মাঞ্জা গলায় লাগে এবং তাতেই গলার শিরা কেটে যায়। রাস্তায় পিছলে পড়লে দাদার শরীরে একাধিক আঘাত লেগেছে। তবে ভাগ্য ভালো ছিল, পিছনে কোনও বাস বা লরি ছিল না। নইলে দাদাকে বাঁচিয়ে ফেরাতে পারতাম না।
পরিবেশকর্মীদের একাংশের মতে, পার্ক সার্কাস, তপসিয়া, ট্যাংরা সহ ইএম বাইপাস লাগোয়া কয়েকটি তল্লাটে প্রকাশ্যেই নিষিদ্ধ চীনা মাঞ্জা বিক্রি হয়। সেই সুতো নিয়েই ঘুড়ি ওড়ান অনেকে। তা থেকেই মা উড়ালপুলে এমন ঘটনা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। পুলিসকে বাধ্য হয়ে লিফলেট বিলি করে সতর্ক করতে হয়েছে। কিন্তু বারুইপুর উড়ালপুলে এমন ঘটনা ঘটায় নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে পুলিস প্রশাসনের তরফে। পুলিসের একাংশ জানিয়েছে, দিনে দিনে ঘুড়ির সুতো মা উড়ালপুলকে যেমন মৃত্যুফাঁদে পরিণত করেছে, তা যাতে বারুইপুর উড়ালপুলে না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। কোন দিক থেকে এই মাঞ্জায় ঘুড়ি ওড়ানো হচ্ছে, সেদিকে নজর দিতে হবে।
পশুপাখিরাও ঘুড়ির সুতোর চীনা মাঞ্জায় গুরুতর আহত হচ্ছে। মারাও যাচ্ছে। এই বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে জাতীয় পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিল পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘পেটা’। তারপর চীনা মাঞ্জা তৈরি, বিক্রি, কেনা গোটা দেশে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেয় জাতীয় পরিবেশ আদালত। তারপরও শহরেও চীনা মাঞ্জা কেনার কোনও বিরাম নেই। জানা গিয়েছে, নাইলনের সুতোর উপরে ধাতু ও কাচের গুঁড়োর মাঞ্জা ব্যবহার করা হয়। থাকে সিন্থেটিক আঠা। ব্লেডের মতো ধারালো হয় এই মাঞ্জা। যার জেরেই সামান্য ঘষাতেই গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়।