পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তমের পরিবারে স্ত্রী রূপা সানা ছাড়াও দুই ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে রয়েছে। মেয়ে সুপর্ণার বয়স ১১ বছর এবং ছেলে আকাশের বয়স মাত্র ৯ বছর। পরিবারের একমাত্র রোজগারে মানুষ ছিলেন তিনিই। ঢালাইয়ের কাজ করার জন্য মাত্র পাঁচ মাস আগেই গাইঘাটা থেকে উত্তম গুজরাতে গিয়েছিলেন। মাঝে মাঝে ফোন করে পরিবারের খবর নিতেন। গত বৃহস্পতিবার শেষ বাড়িতে ফোন করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী রূপা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তখনই তিনি ফোনে বাড়ির লোকজনকে জানিয়েছিলেন, ওরা তাঁকে বাঁচতে দেবে না। কিন্তু, ওরা কারা। তিনি কোথায় রয়েছেন, কেন মারতে চাইছেন, এইসব কিছুর উত্তর তাঁরা পাননি। তারপর থেকে উত্তমের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের কোনও যোগাযোগও হয়নি। বাড়ির লোকজন খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলেন।
গত শনিবার সকালে ওড়িশার রাজগণপুরের জিআরপি উত্তমের এক জামাইবাবুর মোবাইলে ফোন করে। তারপরই জানা যায়, রেল লাইনের ধার থেকে উত্তমের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর পকেটে কয়েকটি মোবাইল নম্বর ছিল। সেখান থেকে নম্বর নিয়ে এই ফোন করছে তারা। জিআরপি জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
শনিবার বিকালের পরই বাড়ির লোকজন এবং আত্মীয়রা ওড়িশায় রওনাও দিয়েছেন। রবিবার সকালে তাঁরা সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। উত্তমের স্ত্রী রূপা এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। কারণ, ও বলেছিল, ওকে মেরে ফেলতে চাইছে ওরা। তাই আমরা নিশ্চিত ওকে খুন করা হয়েছে। খুনের পর মৃতদেহ রেল লাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, সঠিক তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যেন উপযুক্ত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।