বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
সম্প্রতি কেরল থেকে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণ কাণ্ডের এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। তাকে কলকাতা এনে নিজেদের হেফাজতেও নেয় পুলিস। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই মণিরুলের হদিশ পাওয়া যায়। তদন্তে এসটিএফের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, মণিরুল বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের পরপরই বাংলাদেশে গা-ঢাকা দিয়েছিল। তারপরে গত কয়েকবছরে একাধিকবার এ’রাজ্যে ঢুকলেও, দু-তিন দিনের বেশি এখানে থাকেনি। পুলিস যাতে খবর না পায়, তাই ঘনঘন থাকার জায়গা বদল করত সে। গত দু’বছর ধরে সে রাজ্যের ছেলের সেভাবে প্রভাবিত করতে পারছিল না। তাই বাংলাভাষী প্রতিবেশী রাজ্যের পড়ুয়াদের দিকে তার নজর ছিল। গত কয়েকবছরে অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশাতে সে কাজ করেছিল বলে এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারী সূত্রের আরও দাবি, জেএমবির প্রথম সারির নেতা ইউসুফ, তালহা শেখ, ইজাজ এবং ইব্রাহিমদের সঙ্গে তার নিয়মিত ওঠাবসা ছিল। একেবারে প্রথমদিকে মুকিমনগর মাদ্রাসায় সে ঘনঘন যাতায়াত করত। পরবর্তী সময়ে মুর্শিদাবাদ, মালদহ, বীরভূম, দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছেলেদের বাছাই করে মাদ্রাসায় পড়তে পাঠাত সে। তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ছেলেদের মাদ্রাসায় পড়াশোনা করানোর পাশাপাশি জেহাদি প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করত এই মণিরুল। বুদ্ধগয়াতে যে জেএমবি দলটি বোমা রাখার দায়িত্বে ছিল, তাদের বোমা তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ করেছিল এই মণিরুল। এমনকী ওই বিস্ফোরণকাণ্ডের প্রাক্কালে মণিরুল নিজেও একাধিকবার বুদ্ধগয়াতে গিয়ে প্ল্যান তৈরি করেছিল। মূলত বিস্ফোরণের জন্য কোথায় কীরকম ব্যবস্থা করতে হবে, সেই প্ল্যানিংয়ের অনেকটা দায়িত্বই মণিরুলের ছিল বলে তদন্তকারীদের দাবি। সম্প্রতি এ’রাজ্যে ফের মণিরুল সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছিল বলে গোয়েন্দারা আগেই জানতে পারেন। সূত্রের দাবি, তার ঠিকানার হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। সম্প্রতি কেরল থেকে যে জেএমবি সদস্য গ্রেপ্তার হয়, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই মণিরুলের হদিশ পান গোয়েন্দারা।