পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
এদিকে বজবজ-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার বলেন, গুজবের কোনও ভিত্তি নেই। তা সত্ত্বেও প্রতিদিন নানা কায়দায় নতুন নতুন এলাকায় ছড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিস ও প্রশাসন তা ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নিলেও, সচেতনতার জন্য লাগাতার প্রচার দরকার। কারণ, গত কয়েকদিন ধরে সহ-সভাপতি হিসেবে রাত জেগে রাস্তায় পাহারা দিতে হয়েছে। গুজবের আতঙ্ক এতটাই যে, মানুষ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। বৃহস্পতিবার রাতে নোদাখালিতে এক অচেনা ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে বেধড়ক মারা হয়। পরে দেখা যায়, তিনি একজন ভিখারি। সাদা ধুতি পড়ে ভিক্ষার জন্য এসেছিলেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পশ্চিমের সভাপতি অভিজিত দাস বলেন, ভোটের আগে এ ধরনের মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে বিস্তীর্ণ এলাকার স্বাভাবিক জনজীবনকে অস্থির করে দেওয়া হয়েছে। সব সময় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক। তা থেকে একটা অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এরফলে কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন প্রতিটি পাড়ায় বাড়ির লোকজনকে রাত জেগে পাহারা দিতে হচ্ছে। এরমধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলে এসেছে। তাতে পড়ুয়াদেরও ক্ষতি হচ্ছে। পুলিস ও প্রশাসন চেষ্টা করলেও সঠিকভাবে এর মোকাবিলা করতে পারছে না। প্রশাসনের উচিত পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে সমস্ত মানুষের মতামত নিয়ে একটি শান্তি কমিটি করার। যাতে আতঙ্ক দূর হয়। জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রামরাবণ পাল বলেন, এ নিয়ে কয়েকটি থানা উদ্যোগ নিলেও সার্বিকভাবে ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলার কর্তাদের আরও সক্রিয় হতে হবে। না হলে এটা ছোঁয়াচে রোগের মতো দিনকে দিন বেড়ে যাচ্ছে। বিষ্ণুপুরের পৈলানের এক বাসিন্দা জানান, পরিবারের এক সদস্য কলকাতায় কাজ করেন। ফিরতে রাত হয়ে যায়। তিনি ভয়েতে ক’দিন ধরে বাড়ি যাচ্ছেন না। এই অবস্থা ফলতা, নোদাখালি, উস্তিসহ ওই এলাকার অনেকের ক্ষেত্রে হচ্ছে।