বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
তথ্য অনুযায়ী, একটি খুনের মামলায় ১৯৯৩ সালের ৩১ মার্চ হাওড়া আদালত সুরিন্দর সিং, মনোজ তিওয়ারি ও বলবন্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। ১৯৮৯ সালের ২৫ মে খুন হয়েছিলেন বিশ্বনাথ সাউ। ওই রায় হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হলে ২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর বিচারপতি জয়ামাল্য বাগচি ও রাজর্ষি ভরদ্বাজ নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে। তাদের জামিন বাতিল হয়। অবিলম্বে আসামিদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। না করলে নিম্ন আদালতকে সেইমতো পদক্ষেপ করতে বলেছিল হাইকোর্ট।
কৃষ্ণপদ হালদার ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর হাওড়া আদালতকে তথ্য জানার অধিকার আইন অনুযায়ী যে চিঠি দেন, তাতে বলা হয়, হাইকোর্টের রায় সহ অন্যান্য নথি ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর হাওড়া আদালতেরই ‘সেশন জজ, সেকেন্ড কোর্ট’-এ পৌঁছেছিল। কিন্তু, আসামিরা বাইরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যতম আসামি মনোজ তিওয়ারি উত্তরপাড়া থানার নাকের ডগায়, ৩/১৩ হারানচন্দ্র ব্যানার্জি লেন, কোন্নগরে বসবাস করছেন। এমনকী অন্য একটি মামলা সূত্রে ওই থানায় তাঁর যোগাযোগও আছে। হাইকোর্টে ইনি দু’টি মামলাও চালাচ্ছেন। সেই সূত্রে আবেদনকারী জানতে চেয়েছিলেন, আসামিদের দণ্ড কার্যকর করার জন্য কোনও পদক্ষেপ কি করা হয়েছে?
হাওড়া আদালতের দায়রা বিচারক এবং ফার্স্ট অ্যাপিলেট অথরিটির কাছে ওই ব্যক্তি তথ্য জানার অধিকার আইন অনুযায়ী প্রায় একই তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। হাইকোর্ট অ্যাপিলেট সাইডের ডেপুটি রেজিস্ট্রারও (প্রশাসনিক) একইরকম আবেদনের জবাবে ২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর জানান, আবেদনটি বিবেচনা করা হচ্ছে। আর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি জানোনো হয়, হাইকোর্টের রায় সহ নিম্ন আদালতের প্রাসঙ্গিক নথি ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বরেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বাকি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার এক্তিয়ার তাঁদের নেই।