বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
অভিযোগ বাতিল ও আগাম জামিন মঞ্জুর করার আর্জি নিয়ে ওই দু’জন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, বাগরি মার্কেটে আগুন লাগা নিছকই দুর্ঘটনা। এর জন্য তাঁদের কোনওভাবেই দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। সরকারি আইনজীবী আবেদনের বিরোধিতা করে তাঁরা বলেছিলেন, ২০১১ সালে ওই বাজারে ছোটখাট একটি অগ্নিকাণ্ড হয়। বাজারের পরিচালন কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় অগ্নি নিরোধক ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য তখনই সতর্ক করা হয়েছিল। এমনকী বাজারের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদার করা ও চালু রাখার জন্য ব্যবসায়ীরা বারংবার কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন। অভিযোগ, ওই কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা সংগ্রহ করলেও আদতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা সেখানে অকেজো ছিল। যা আগুন লাগার দিন প্রতি পদে স্পষ্ট হয়েছে। ওই অগ্নিকাণ্ড ভয়াবহ চেহারা নেয় সেই কারণেই।
এদিন বাগরিদের আইনজীবী অমর্ত্য ঘোষ বেঞ্চকে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে ইতিমধ্যেই চার্জশিট দাখিল হয়ে গিয়েছে। ফলে এখন আর তদন্তে প্রভাব সৃষ্টি করার দাবি বা আশঙ্কা প্রকাশ করা যায় না। দ্বিতীয়ত, ভারতীয় ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ‘কোনও কিছু ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্র করে আগুন লাগানো বা বিস্ফোরণ ঘটানোর’ অভিযোগ তদন্তকারীরাই চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছেন। অর্থাৎ, মূল অভিযোগই যখন নেই, তখন কেন তাঁরা জামিন পাবেন না? অন্যদিকে, সরকার পক্ষ বলে, আগাম জামিন মঞ্জুর করলেও অভিযুক্তরা যেন সপ্তাহে একদিন তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করেন, এমন নির্দেশ দেওয়া হোক। কিন্তু, বেঞ্চ সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি।