পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ন্যাশনালে শেষবার বাইপাস সার্জারি হয়েছিল ২০১৮ সালের ২ মে। তারপর হার্ট অপারেশন করাতে রোগী এলেই আউটডোর থেকে বলে দেওয়া হচ্ছে, এখানে হবে না। অন্য কোথাও যান।
কিন্তু, কেন এই অবস্থা? চিকিৎসকদের কথায়, ওপেন হার্ট সার্জারি এবং সিএবিজি বা করোনারি আর্টারি বাইপাস সার্জারির জন্য জরুরি হার্ট-লাং মেশিন। সেটাই নাকি খারাপ! তাঁরা জানিয়েছেন, সিএবিজি তাও ‘বিটিং হার্ট’ পদ্ধতিতে করা সম্ভব। কিন্তু, সেক্ষেত্রে হার্ট-লাং যন্ত্রটি থাকা অত্যন্ত জরুরি। আর ওপেন হার্ট, হার্টে ফুটো (এএসডি, ভিএসডি), হার্টে টিউমার সহ অজস্র অপারেশনে হার্ট-লাং মেশিন এক কথায় অপরিহার্য। সেই মেশিনই দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। ফলে হৃদযন্ত্রের অজস্র অপারেশন করাই যাচ্ছে না। সেই সব রোগী ভর্তি করে লাভ কী?
এর পাল্টা যুক্তিও আছে। তা হল, ২৬ অক্টোবর ন্যাশনালের সুপার হার্ট-লাং মেশিনটি ঠিক করার নির্দেশ দেন। যন্ত্র নির্মাতা সংস্থার কর্মীরা এরপর হাসপাতালে এসে বেশ কিছু যন্ত্রাংশ বদলান। নভেম্বর মাসের ২৩ তারিখ ব্যাটারিও পাল্টানো হয়। তারপরও বেশ কয়েকবার সেটি সারানো হয়। ২৮ নভেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দফায় দফায় ট্রায়াল রান করা হয়। কিন্তু তারপরও রোগী ভর্তি করা আর হচ্ছে না।
বিভাগীয় চিকিৎসকদের যুক্তি, মেরামত হলেও মেশিনটি যে রোগীদের ব্যবহারের জন্য নিরাপদ, সে ব্যাপারে লিখিত ছাড়পত্র দেয়নি যন্ত্র নির্মাতা সংস্থা। ওই শংসাপত্র ছাড়া এই মেশিন দিয়ে অপারেশনের ঝুঁকি নেওয়া যায় না। কারণ এতে রোগীর প্রাণ সংশয়ের সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া ওই মেশিনটি মান্ধাতার আমলের। এক যুগেরও বেশি বয়স। কোম্পানি ছাড়পত্র দিলেও সেটি টিকবে কতদিন, বলা মুশকিল।
একদিকে যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি, অন্যদিকে হার্ট-লাং মেশিনের অভাবে রোগীদের জেরবার অবস্থা। এটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি জেলার রেফারেল হাসপাতাল হওয়ায় শ’য়ে শ’য়ে রোগী প্রতিদিন নাজেহাল হচ্ছেন। সনৎকুমার হালদার, সামসুদ্দিন হালদার, ইন্দ্রমতী রাউত, আর্শাদ লস্কর, সতী মণ্ডলের মতো বহু রোগীই রয়েছেন অপারেশনের অপেক্ষমাণ তালিকায়। এঁরা এখন অন্যত্র অপারেশনের কথা ভাবতে শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিভাগীয় প্রধান ডাঃ আশিস মণ্ডল বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সবটা জানিয়েছি। যা বলার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলবে। হাসপাতালের সুপার ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে ফোন করা হলে তাঁর ‘পিএ’ পরিচয় দিয়ে একজন বলেন, স্যার, ব্যস্ত আছেন। অধ্যক্ষ ডাঃ অজয় রায় ফোন ধরেননি।