বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় এবারের অন্যতম আকর্ষণ থিম কান্ট্রি গুয়াতেমালার প্যাভিলিয়ন। সেদেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী সাজিয়ে তোলা হয়েছে স্টলটিকে। তবে এবারই প্রথম কোনও থিম প্যাভিলিয়নে সেদেশের খাবার পরখ করতে পারবেন বইপ্রেমীরা। গুয়াতেমালার খাবারের ডালি নিয়ে হাজির হয়েছেন ‘গ্লেস প্যাটিসেরি’ নামে একটি ছোট্ট সংস্থা। তাদের কর্ণধার শ্রেয়সী বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই বইপ্রেমীদের দাবি ছিল থিম প্যাভিলিয়নে সেই দেশের খাবার রাখার। সেই দাবি মেনে এবার এই ব্যবস্থা করেছে ইন্দো-হিস্প্যানিক ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাকাডেমি।’ বইমেলার উদ্বোধনে হাজির ছিলেন গুয়াতেমালার সাহিত্যিক উদো মোরালেস। তিনি নিজেও একজন খাদ্যরসিক। তিনিই দেশ থেকে চকোলেট এবং বিভিন্ন মশলা নিয়ে এসেছেন। গুয়াতেমালার চকোলেট স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয়। শেফরা সেগুলিই ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছেন শ্রেয়সী। ৩০ টাকা, ৫০ টাকা, ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে গুয়াতেমালার আলফাজোরেস, বোরাচো কেক, চিকেন এমপান্ডাসের মতো খাবার। ভালোই সাড়া মিলছে বলে দাবি করেছেন স্টলে থাকা অন্যান্যরা। শ্রেয়সীর দাবি, সন্ধ্যা ৭টার মধ্যেই সব খাবার নিঃশেষিত।
বইমেলায় এবার অন্যতম আকর্ষণ আইআইটি খড়্গপুরের স্টল। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে এখানে ‘ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরি অব ইন্ডিয়া’ আর্কাইভ গড়ে তুলেছেন আইআইটি খড়্গপুরের গবেষকরা। এই অনলাইন লাইব্রেরি থেকে বিনামূল্যে স্বত্ববিহীন বই ডাউনলোড করা যাচ্ছে। বইমেলার স্টলের ল্যাপটপে মেল আইডি নথিভুক্ত করে বিনামূল্যে বই ডাউনলোড করার সুযোগ পাচ্ছেন বইপ্রেমীরা। চাইলে অ্যাপের মাধ্যমেও বই ডাউনলোড করা যাচ্ছে। স্টলে ভিড় উপচে পড়ছে। তবে এদিন সন্ধ্যায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অনেককেই সেখান থেকে ফিরে যেতে হয়েছে। স্টলে থাকা বিভাস সামন্ত জানালেন, ‘মেলায় কোনও স্টলে ঢুকলে পয়সা দিয়ে বই কিনতে হয়। আমাদের সুবিধা হচ্ছে, এখানে সেসব বিনামূল্যেই পাচ্ছেন পাঠকরা। অনলাইনে বই পড়ার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই লাইব্রেরি পাঠকদের সেই চাহিদা পূরণ করতে পারবে।’