বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
পুলিস ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনাটি ঘটে ২০০৯ সালের ২ জুন রাতে ট্যাংরা থানার ডি সি দে রোডে। কলে জল নেওয়া নিয়ে বচসা বাধে কয়েকজনের মধ্যে। একসময় বিবাদ চরমে ওঠে। শুরু হয় গালিগালাজ। শেখ লাল্টু নামে ওই যুবক সেই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় গালিগালাজ শুনে তার প্রতিবাদ করেন। তখনকার মতো পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। ওই যুবক চলে যান তাঁর কাজে। রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় এলাকায় ঢোকা মাত্র আচমকা ছয় যুবক তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে। লাঠি, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারা হয় ওই যুবককে। খবর পেয়ে বাড়ি থেকে ছুটে আসেন ওই যুবকের বৃদ্ধা মা। তিনি ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। স্থানীয় মানুষজন রক্তাক্ত ওই যুবককে উদ্ধার করে এন আর এস হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ঘটনার পর মৃত যুবকের বৃদ্ধা মা পুলিসের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস গ্রেপ্তার করে চার যুবককে। চম্পট দেয় বাকি দুই অভিযুক্ত যুবক। পরে তদন্ত শেষ করে পুলিস শিয়ালদহ আদালতে ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনে চার্জশিট পেশ করে। মামলাটি বিচারের জন্য যায় দায়রা আদালতে। সেখানে চার্জ গঠন করার পর শুরু হয় এই হত্যা মামলার শুনানি। সরকারি আইনজীবী জানান, এই মামলায় ১৭ জন কোর্টে সাক্ষ্য দেন। মৃত ওই যুবকের মা বলেন, আমার স্বামী নেই। একমাত্র রোজগেরে ছেলেকে ওরা খুন করল। অনেক কষ্ট করে অপরাধীদের সাজার জন্য এতগুলি দিন দাঁতে দাঁত চেপে আইনি লড়াই চালিয়েছি। শেষ পর্যন্ত ছেলের খুনিরা সাজা পেল, এটাই বড় আনন্দের।