পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
এদিন সন্ধ্যায় বইমেলা পরিদর্শনে এসেছিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। একটি ইংরেজি প্রকাশনী সংস্থা, গিল্ডের দপ্তর সহ কিছু স্টল ঘুরে দেখেন তিনি। স্টল পরিদর্শনের ফাঁকেই তৃণমূলের ধর্না ও পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। বিষয়টি এড়িয়ে যান রাজ্যপাল। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই বইমেলায় এসেছিলেন অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায় এবং রাহুল। বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে রাহুলের বই ‘কলোনি কল্লোলিনী’। সেখানে কিন্তু লেখক হিসেবে রাহুলের আসল নাম অরুণোদয়। প্রিয় অভিনেতাদের হাতের কাছে পেয়ে ছবি ও সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে যায়। এদিন বইমেলায় এসেছিলেন শ্যাম থাপার মতো প্রাক্তন ফুটবলাররাও। একটি বিনোদনমূলক অ্যাপের স্টলে এসেছিলেন অভিনেত্রী দর্শনা বণিক। তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতেও আগ্রহী লোকজনের অভাব ছিল না।
বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে কলকাতা লিটারারি মিট। তিনদিনের এই অনুষ্ঠানের সূচি জানার জন্যও বইপ্রেমীদের মধ্যে উৎসাহ দেখা গিয়েছে। গত কয়েকবছর ধরেই বইমেলায় দেখা গিয়েছে, কিছু স্টলে ১০ শতাংশের জায়গায় ছাড় কিছুটা বেড়েছে। এবারে কিছু প্রকাশনা সংস্থা তো বইয়ের উপর ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে। এর ফলে বইয়ের বিক্রিও বেড়েছে বলে দাবি প্রকাশকদের। তবে কিছু বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থার স্টলে কর্মীদের অভদ্র আচরণ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন বইপ্রেমীরা। গত বছর থেকেই ফেসবুকে বইপ্রেমীদের গ্রুপের পক্ষ থেকে একসঙ্গে বইমেলায় দেখা করার প্রবণতা বেড়েছে। এদিনও দেখা হল একটি গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে। ফেসবুকে বইয়ের রিভিউ দেখে নির্দিষ্ট করে সেগুলি কিনছেন বলে দাবি করেছেন এক বইপ্রেমী। ফুডকোর্টের ভিড় অবশ্য আগের মতোই। খাওয়ার স্টলের আধিক্য নিয়ে অনেকেই বিরক্ত। আর লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়নে ভিড় ছিল চোখে দেখার মতো। অনেককে আবার দেখা গেল সদ্য কেনা বইটি দোকানের বাইরে মাটিতে বসা একজনের থেকে মলাট দিয়ে নিতে। খবরের কাগজ, সাধারণ কাগজ থেকে সেলোফেন-সব কিছু দিয়েই মলাট দেওয়া হচ্ছে।