পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, গোপালনগরের কাছে সৌজন্য ভবন থেকে উড়ালপুলটি উঠে গোপালনগর, হাজরা মোড় পেরিয়ে হাজরা রোড, পণ্ডিতিয়া রোড ধরে বালিগঞ্জ ফাঁড়ির সামনে নামবে। তবে এই উড়ালপুলের একটি র্যাম্প নামানো হবে দেশপ্রিয় পার্কের কাছে। যাতে শরৎ বোস রোড ধরে উড়ালপুলে উঠতে পারবেন গাড়িচালকরা। দ্বিতীয় উড়ালপুলটি আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে থেকে টলি ক্লাব পর্যন্ত তৈরি হবে। তা টালিনালার উপর দিয়ে যাবে। পূর্ত দপ্তরের সাদার্ন হাইওয়ে প্ল্যানিং ডিভিশন ১-এর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অনলাইনে ওই দু’টি উড়ালপুলের ফিজিবিলিটি রিপোর্ট এবং ডিপিআর তৈরির টেন্ডার ডেকেছেন। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষের পরে যে সংস্থা ওই দুই রিপোর্ট তৈরির বরাত পাবে, তাদের তা ৯০ দিনে জমা দিতে হবে।
উড়ালপুলের মাধ্যমে দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আকাশপথে যোগাযোগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নবান্নের শীর্ষস্তরে ওই দুই উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ডিপিআর দেখেই টাকা বরাদ্দ করবে অর্থদপ্তর। ফিজিবিলিটি রিপোর্ট এবং ডিপিআর তৈরির পর উড়ালপুল নির্মাণের ব্যাপারে ই-টেন্ডার ডাকা হবে। নবান্নের কর্তারা চান, লোকসভা ভোটের আগেই ফিজিবিলিটি রিপোর্ট, ডিপিআর তৈরির কাজ শেষ করা হোক। লোকসভা ভোট মিটে গেলে উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরু হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই দু’টি উড়ালপুল তৈরি হয়ে গেলে দক্ষিণ কলকাতার রাস্তায় গতি বেড়ে যাবে। আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে যাতায়াত অনেক সহজ হবে। সেই সঙ্গে সরকারের অতিথিশালা সৌজন্য ভবন থেকে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি পর্যন্ত উড়ালপুল তৈরি হয়ে গেলে ভিন রাজ্য বা ভিন দেশের অতিথিদের যাতায়াতে খুব সুবিধা হবে। আবার বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে একটি র্যাম্পের মাধ্যমে মা উড়ালপুলে যোগাযোগের পরকিল্পনা করা হয়েছে। তার স্টাডি রিপোর্ট তৈরির কাজ চালাচ্ছে রেলের অধীনস্থ সংস্থা রাইটস।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহরের গতি বাড়াতে চান। সে কারণেই নতুন নতুন উড়ালপুল তৈরির পরিকল্পনা করেছেন। এজন্য পরিকাঠামো তৈরির ফান্ড করেছেন তিনি। যেসব দপ্তর বরাদ্দ টাকা খরচ করতে পারেনি, তাদের থেকে অর্থ ফেরত এনে কয়েকটি উড়ালপুল তৈরির পরিকল্পনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।