বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে বেনিয়াপুকুর এলাকায় একটি দোকানে ডিম ভাজা খাচ্ছিলেন ফিরোজ, সুরজ ও ইন্দ্রজিৎ। সেই সময় সাহেব তার দলবল নিয়ে সেখানে হাজির হন। তাঁরা বাইক নিয়ে সেখানে আসেন। বাইকটিকে দাঁড় করানো নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। একপক্ষ অন্যপক্ষকে লক্ষ্য করে টিকা-টিপ্পনিও করে। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নিজেদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় মারপিট। এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ভয়ে ঘরে ঢুকে পড়েন। ঘটনার খবর পেয়ে আসে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিস। তারা দু’পক্ষকেই এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে থানায়। তার ভিত্তিতে পুলিস দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করে। গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে। তখনকার মতো ঘটনা মিটে গেলেও এলাকায় উত্তেজনা ছিল। মঙ্গলবার সকালে আবার এই দুই গোষ্ঠীর ছেলেদের মধ্যে গোলমাল শুরু হয়। এতে জড়িয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন মহিলা। বেশ কয়েকটি বস্তিও ভাঙচুর করা হয়। এমনকী শাসকদলের কার্যালয় ভাঙচুরেরও অভিযোগ উঠেছে। উল্টে দেওয়া হয় চেয়ার টেবিল। এদিন ফের ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে তারা। এলাকায় পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, দু’পক্ষই শাসকদলের সমর্থক। একপক্ষ যুব’র সঙ্গে রয়েছে। অন্যপক্ষ রয়েছে মূল দলের সঙ্গে। দুই গ্রুপের মধ্যে অনেকদিন ধরেই ঝামেলা চলছে। সকলেই এলাকায় নিজের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। সেখান থেকেই সোমবারের ঘটনার সূত্রপাত। এলাকার বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার বক্তব্য, দলের কারা পার্টি অফিস ভাঙচুর করল, তা পুলিসকে দেখতে বলা হয়েছে। বিজেপির প্রভাবে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁর মন্তব্য।