বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এদিন সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জল মজুত রাখার জন্য লম্বা লাইন পড়ে যায়। মাত্র দিন দশেক আগেই ২৪ ঘণ্টা জল বন্ধ রেখে পাইপ লাইনের কাজ করেছিল পুরসভা। ফের একই ভোগান্তি হওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে। যদিও পুরসভার কর্তারা জানিয়েছেন, দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বুধবার দুপুরের মধ্যেই কাজ শেষ করে পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
হাওড়া পুরসভার কমিশনার তথা প্রশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, পাইপ লাইন ঠিকমতো জোড়া লাগানো হয়নি। সেই কারণে জল লিক করে রাস্তার ক্ষতি হচ্ছিল। তাছাড়াও জলও প্রচুর অপচয় হচ্ছিল। সেই কারণেই দ্রুত মেরামত করার প্রয়োজন হয়েছিল। তাই জল সরবরাহ বন্ধ করে মেরামত করার কাজ চলছে। বুধবার দুপুরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করছি।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পদ্মপুকুর পানীয় জল প্রকল্প থেকে শহরের ১ থেকে ৫০ ও ৬৩ থেকে ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের পানীয় জল সরবরাহ হয়। তিন বছর আগে পুরসভা সিদ্ধান্ত নেয়, এখানে থাকা পানীয় জলের লাইন পরিবর্তন করার প্রয়োজন। কেননা, ওই পাইপ লাইন খারাপ হয়ে গিয়েছে। সেই মতো পাইপ লাইন বসানোর কাজও সম্পূর্ণ হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে নতুন পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু, দেখা যায়, এই বিস্তীর্ণ এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পাইপ লাইনের সংযোগস্থলে ঠিকমতো ঝালাই হয়নি। তার ফলে পাইপ লাইন দিয়ে জল বের হতে শুর করে। রবিবারই পুরসভার পক্ষ থেকে নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে জল বন্ধ থাকবে।
কিন্তু, শহরের বাসিন্দাদের প্রশ্ন, পাইপলাইন বসানোর সময় তা কেন পর্যবেক্ষণ করা হয়নি। যদিও পুরসভা জানিয়েছে, জল সরবরাহ না হওয়া পর্যন্ত বোঝা সম্ভব নয় যে কোথাও লিকেজ আছে কি না। সেই কারণেই জল সরবরাহের পরই তা স্পষ্ট হয়েছে। এর জন্য শহরের বাসিন্দাদের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তা ঠিকই। এদিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলের কলের সামনে লম্বা লাইন চোখে পড়েছে। স্থানীয় লোকজনের আশঙ্কা, বুধবার দুপুরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা মানা হবে তো? আগের বার দুপুরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হলেও স্বাভাবিক হতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল।